Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রাম্য দলাদলি ও ভূল বোঝাবুঝির কারণে পাল্টাপাল্টি মামলা করার পরে শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় দুই গ্রুপের মধ্যে শান্তিপূর্ণ মিমাংসা হয়ে গেছে।

গত ৪ নভেম্বর উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টির মিমাংসা করে দেন আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু।

জানা যায়, স্থানীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরালক্ষী গ্রামের লোকমান সরদারের ছেলে এমদাদুল সরদার গং এবং একই গ্রামের হান্নান সরদারের স্ত্রী রাবেয়া গংদের মধ্যে গত ১৫ অক্টোবর ও ১৬ অক্টোবর মারামারি হয়। ওই ঘটনায় গত ১৫ অক্টোবর এমদাদুল সরদারের স্ত্রী রওমনারা বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ১৬ অক্টোবর হান্নান সরদারের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন একই থানায় ১১ জনকে আসামী করে কাউন্টার মামলা করেন। উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলায় স্থানীয়ভাবে আতঙ্ক বিরাজ করতে শুরু করে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় চেয়ারম্যান বিষয়টির আপোষ মিমাংসা করে দেন।

রওশনারা বলেন, প্রতিবেশীগত বিরোধ ও গ্রাম্য দলাদলির কারণে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে পশ্চিম বিরালক্ষী গ্রামের হামিজুদ্দীনের ছেলে রবিউল ইসলাম, আতিয়ার রহমানের ছেলে মনিরুজ্জামান সানা, তবিল উদ্দীন সরদারের ছেলে আমিনুর সরদার ও কামরুল সরদার, সোহিল উদ্দীন সরদারের ছেলে মোশারফ সরদার ও ইমরান হোসেন, হামিজ উদ্দীন সরদারের ছেলে রুবেল সরদার, মৃত তমিজ উদ্দীন সরদারের ছেলে ইব্রাহীম সরদার ও হান্নান সরদারের নামে গত ১৫ অক্টোবর শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করি। মামলা নং ১৮। এরপর তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করি। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় তাদের সাথে আমার মিমাংসা হয়ে গেছে। আদালত হতে মামলা উঠানোর জন্য বুধবার আমি সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মাধ্যমে এফিডেভিড করে দিয়েছি। এখন থেকে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবো।

রাবেয়া খাতুন বলেন, প্রতিবেশীগত বিরোধ ও ভূল বোঝাবুখির কারণে পূর্ব বিরালক্ষী গ্রামের মৃত ছাবের সরদারের ছেলে ফজলু সরদার ও রুহুল আমিন, লোকমান সরদারের ছেলে এমদাদুল হক সরদার, আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনিছুর সরদার ও হাফিজুর রহমান, মৃত ছলেমান সরদারের ছেলে অহিদুল সরদার, মৃত গহর আলী সরদারের ছেলে সাত্তার সরদার, মৃত জুব্বার সরদারের ছেলে আজিবর রহমান, ফজলু সরদারের ছেলে আনারুল ইসলাম ও খায়রুল সরদার, এমদাদুল হক সরদারের ছেলে রকির নামে গত ২০ অক্টোবর শ্যামনগর থানায় একটি মামলা করি। মামলা নং ৩১। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় তাদের সাথে আমার শান্তিপূর্ণ মিমাংসা হয়ে গেছে। আদালত হতে মামলা উঠানোর জন্য বুধবার আমি সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মাধ্যমে এফিডেভিড করে দিয়েছি।

আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু বলেন, উভয় পক্ষ একে অন্যের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে এবং এলাকায় শান্তি শৃংখলার স্বার্থে মিমাংসা হয়ে গেছে। তারা নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়াবেনা মর্মে আপোষ নামায় স্বাক্ষর করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *