Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জাবিদ রায়হান লাকি মারা গেছেন।

শনিবার(২৭ আগস্ট) রাত ১টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

জাবিদ রায়হান লাকি কলারোয়া পৌর সভার তুলমীডাঙ্গা গ্রামের মৃত কওসার আলী সরদারের ছেলে এবং কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

কলারোয়া উপজেলার বিএনপি’র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ রইচউদ্দীন বলেন, সদ্য নিহত জাবিদ রায়হান লাকী কলারোয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সর্বশেষ পৌর যুবদলের সফল সভাপতি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ হৃদরোগ, কিডনীসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। সাতক্ষীরা কারাগারে তিনি এসব রোগ নিয়ে কারাভোগ করছিলেন। সম্প্রতি কারাগারে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে সাতক্ষীরা কারারক্ষী পুলিশের হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ওই একই মামলার অস্ত্র ও বিস্ফোরক ধারায় স্বাক্ষী গ্রহণ শুরু হলে তাকে খুলনা থেকে সাতক্ষীরা আদালতে হাজিরা দিতে আনা হয়। হাজিরা শেষে তাকে আবারো সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কিছুদিন পরে তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে কারারক্ষি পুলিশ হেফাজতে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিগত ১৫ দিন যাবৎ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কুদরত-ই-খুদা জানান, আগে তিনি স্টোক করেছিলেন। ডায়াবেটিস ও ফুসফুসে ইনফেকশনসহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন। সেখানে থাকাবস্থায় তার যথাযত চিকিৎসা না হওয়ায় তিনি অকালে মারা গেলেন।

সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার মামুনুর রশিদ জানান, দন্ডপ্রাপ্ত লাকির অনিয়ন্ত্রিত ও অতিমাত্রায় ডায়বেটিক ছিল। তাছাড়া তার শরীরের বামপাশ অবশ ছিল। তাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা করাতে অবহেলা করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা সঠিক নয়। আমরা তাকে এর আগেও খুলনায় নিয়ে গেছি। কেউ মারা গেলে এমন অভিযোগ বাস্তবসম্মত নয

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *