নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ার কয়লায় নৌকা ও মোটর সাইকেল প্রতীকের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর স্ত্রীসহ উভয় পক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধায় কয়লা বাজারের উত্তর পাশে মোড়ল পাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের স্ত্রী নাসরীন সুলতানা, চাচাতো বোন মঞ্জু খাতুন, মোটর সাইকেল প্রতিকের কর্মী শেখ ইউসুফ, শিউলি খাতুন ও সালেহা খাতুন। আহতরা সবাই কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নৌকা প্রতিকের কর্মী মোমেনা খাতুন, ওলিউর রহমান, দীলীপ ঘোষসহ অনেকেই বলেন, মোটর সাইকেলের কর্মী সমর্থকরা প্রচার করতে করতে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় যায়। তখন আসাদের স্ত্রীকে দেখে নৌকা ও আসাদ সম্পর্কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় আসাদের স্ত্রী প্রতিবাদ করলে সকলে মিলে তাকে প্রচুর মারপিট করেন। বাঁধা দিতে এসে আহত হয়েছেন আসাদের চাচাতো বোন।
মোটর সাইকেল প্রতিকের কর্মী শেখ ইউসুফ বলেন, কয়লা বাজার এলাকায় মোটর সাইকেলের প্রচার করতে গেলে নৌকার প্রার্থীর স্ত্রীসহ অনেকই আমাদের বাঁধা দেন এবং আমাদের প্রচার মাইকে হামলা করে পানিতে ফেলে দেন। এছাড়া তারা আমাদের মারপিট করে আহত করেছেন।
নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকেই মোটর সাইকেলের প্রার্থী সোহেল রানা ও তার কর্মী-সমর্থকরা আমার বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত শুরু করেছে। তারা একের পর এক ইস্যু তৈরী করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। সর্বশেষ আমার বাড়ির পাশে প্রচারে এসে আমার সহধর্মিণী ও চাচাতো বোনকে মারপিট করেছে।
তিনি বলেন, আমি চাই সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু মোটর সাইকেলের প্রার্থী বারবার বিভিন্নভাবে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী সোহেল রানা বলেন, আমার কর্মীরা নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর এলাকায় গেলে তার স্ত্রীর নেতৃত্বে আমার কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। আমার প্রচার মাইক পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এতে আমার ২জন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় তারা আমাদের সুষ্ঠভাবে প্রচার করতে দিচ্ছে না। এভাবে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করলে কিভাবে আমরা নির্বাচন করবো?
কলারোয়া থানার ওসি বলেন, ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী যা যা করা দরকার কলারোয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তাই করা হবে।