Spread the love

কামরুল হাসান: ১৯৭১ সালে কলারোয়ার বালিয়াডাঙ্গা যুদ্ধে ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন। আর পাকবাহিনীর ২১১ জন সদস্য নিহত হয়েছিল৷ এই যুদ্ধে বিশেষ বীরত্ব দেখানোয় শৈবাল শফিক উদ্দিন, ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দিন, নায়েক শাহ আলী, ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহ ও সুবেদার মোবারক উল্লাহ খেতাব পেয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বাজারের জনৈক সামসুল হকের মিল চত্বরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এভাবেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।

কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভূট্টোলাল গাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও দেশপ্রেমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলা পেয়েছি৷ রণাঙ্গনে বালিয়াডাঙ্গা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে তরুণ সমাজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে হবে। যা বাঙালি জাতির জন্য এক অবিচ্ছেদ্য অংশ৷

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন- বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী জেরীন কান্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র গাইন, কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল , মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল গফফার, সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী প্রমূখ।

অতিথিবৃন্দ ঐতিহাসিক বালিয়াডাঙ্গা বাজারে একটি আধুনিক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জাদুঘর নির্মাণের দাবি জানান।

অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালিদের প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করেছিল পাকবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে বালিয়াডাঙ্গায় ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়৷ সেখানে পাকবাহিনীর সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধে ক্যাপ্টেন শফিউল্লাহ মারাত্মকভাবে আহত হন৷ এই যুদ্ধে নিয়মিত বাহিনীর ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন। পাকবাহিনীর ২১১ জন নিহত হয়েছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *