Spread the love

এসভি ডেস্ক: করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্বের নিশানায় চীন। বিশেষত আমেরিকা বারবার করোনার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছে চীনকে। শুরুর দিকে অনেকেই এই ভাইরাসকে চীনের ‘জৈব অস্ত্র’ বলে দাবি করেছিলেন। যদিও সেই দাবি তেমন মজবুত হতে পারেনি। এরই মধ্যে লাদাখ সীমান্তে ভারতের সঙ্গে চীনের সংঘাত কিছুতেই থামার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে হওয়া একটি গোয়েন্দা চুক্তি!

একটি প্রতিরক্ষা বিষয়ক পত্রিকায় চীন ও পাকিস্তানের সেই চুক্তির বিষয়টি ফাঁস করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট মোতাবেক, পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জৈব অস্ত্র গড়ে তুলছে চীন। আর সেই জৈব অস্ত্রের নিশানা করা হবে ভারতকে!

রিপোর্ট লেখা হয়েছে, ওই পত্রিকার দাবি, চীনের উহানের যে ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হয়, সেই ল্যাবেই জৈব অস্ত্রের চাষ করছে চীন। আর সেই কাজে তাদের দোসর হয়েছে পাকিস্তান। উল্লেখ্য, ওই ল্যাবে জৈব অস্ত্রের পরীক্ষা নিয়ে আগেই একাধিকবার চীনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিভিন্ন দেশ। যদিও বরাবরই তা অস্বীকার করেছে তারা।

পত্রিকাটির দাবি অনুযায়ী, উহানের ওই ভয়ংকর ল্যাবে ইতোমধ্যে অ্যানথ্রাক্স-সহ বেশ কিছু ভয়ংকর ভাইরাস নিয়ে যৌথ গবেষণা শুরু করেছে চীন ও পাকিস্তান। তা তাতে সাফল্য মিললেই ভারত-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশকে টার্গেট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনার গবেষণা শাখা ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি অর্গানাইজেশন ও উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলোজি একযোগে সেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে। আশঙ্কার খবর হল, করোনার এই প্রবল প্রকোপের সময়ই চীন জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে এগুলিকে।

চিন্তা বাড়িয়েছে আরও একটি তথ্য। সম্প্রতি এক মার্কিন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আল কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনও জৈব অস্ত্র কেনার চেষ্টা করছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল বনে গিয়েছেন এক প্রকার। এই পরিস্থিতি পাকিস্তানি সেনার ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি অর্গানাইজেশন নাকি ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস ও অ্যাসিলাস থুরিংজিয়েনিসিস-এর মতো মারাত্মক ভাইরাস ইতোমধ্যে তুলে দিয়েছে চীনের হাতে। ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই আশঙ্কার পারদ চড়ছে।

এমনকী মনে করা হচ্ছে, প্লেগ, ইবোলা, এসএআরএস-এর মতো ভাইরাসকেও জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে চীন ও পাকিস্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *