Spread the love

এসভি ডেস্ক: ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেয়ার মামলায় আটক শাহেদ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন, ‘আমি নিজেও করোনা রোগী। আমার বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একমাত্র আমিই বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবা দেই। আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য তোলা হলে এর মাঝখানে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল বুধবার সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনার পর শাহেদ জানান তার বুকে ব্যথ্যা হচ্ছে। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে তার এক্সরে ও ইসিজি করা হয়। চিকিৎসক ও র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, ‘সব রিপোর্ট ভালো এসেছে, কোনও সমস্যা নেই’। 

বৃহস্পতিবার সকালে করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদকে আদালতে তুলে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চায়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করেন তার কিছু বলার আছে কিনা। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহেদ নিজেকে করোনা রোগী দাবি করে এসব কথা বলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয় শাহেদকে। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসএম গাফ্ফারুল আলম রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ ও এমডি মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

একই মামলার আরেক আসামি তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আবার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন একই তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,  উত্তরা পশ্চিম থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই তিন জনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক আদেশ দেন।

বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় শাহেদকে। এর আগে তার খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে র‌্যাবের অভিযানের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র‌্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। তার হাসপাতালের কার্যক্রমও সরকারের নির্দেশে বন্ধ আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *