রবিউল আওয়াল, চীন থেকে: চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বিশ্বের ১৭০টি দেশে আঘাত হেনেছে। এতে দশ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২০ হাজার ২৫১ জন। চীনের পরে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
তবে করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটিতে মৃত্যু বা আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। কোনো ওষুধ নয়, দশটি পরামর্শ মেনে চীনে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন সেই দেশের জিয়াংসু প্রদেশের চ্যাংজো শহরে থাকা বাংলাদেশের শিক্ষার্থী রবিউল আওয়াল ।
আওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানান, করোনার কোনো ওষুধ নেই। একমাত্র সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে ভাইরাসটি থেকে মুক্তি মিলবে।
চীন সরকারের দশ পরামর্শের ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়াল জানান, সতর্ক থাকাই করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে চীন সরকার। সরকার সবাইকে দশটি পরামর্শ দেয়। দেশটিতে থাকা সবাইকে পরামর্শগুলো মেনে চলতে বাধ্য করা হয়।
সেগুলো হলো- ১. জ্বর, কাশি, সর্দি হলে তাৎক্ষণিক নিজেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
২. খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়। সপ্তাহে একদিন বাজার করতে বলা হয়।
৩. এলাকা ভিত্তিতে লকডাউন করা হয়। যাতে করোনা রোগী এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে।
৪. বাইরে গেলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে বলা হয়।
৫. বাইরে থেকে এসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালভাবে হাত ধুতে বলা হয়।
৬. অযথা চোখে মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
৭. জনবহুল স্থান বা গণপরিবহণে এক স্থান হতে অন্য স্থানে যেতে নিষেধ করা হয়।
৮. হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
৯. মানসিকভাবে শক্ত থাকতে বলা হয়।
১০. নিয়মিত খাবার গ্রহণ ও ব্যায়াম করতে বলা হয়।