Spread the love

এসভি ডেস্ক: করোনো ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আজ শনিবার থেকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে গঠিত টিম সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে।

ইতোমধ্যে জেলায় সকল গণজমায়েত নিষিদ্ধ ও পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করায় ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

এছাড়া করোনো ভাইরাসকে ইস্যু করে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৪৫টি অভিযানের মাধ্যমে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। সীমান্তেও বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

শুক্রবার রাত ৮টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত করোনো ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরী মতবিনিময় ও পর্যালোচনা সভায় জেলা করোনো ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় আরও জানানো হয়, সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গঠিত টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। তথ্য অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

সভায় জানানো হয়, ১৯ মার্চ সম্প্রতি বিদেশ থেকে সাতক্ষীরায় আসা মানুষের তালিকা হাতে পাওয়া গেছে। এই তালিকা অনুযায়ী ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ বিদেশ ফেরত মানুষদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে। ইতোমধ্যে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের শরীরে সিল মারার কাজও শুরু হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার গোলাম মহিউদ্দিনসহ অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকবৃন্দ তাদের মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও অনেক জায়গায় ওয়াজ মাহফিল, যজ্ঞসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কঠোর হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাপক হারে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। যাতে মানুষ সচেতন হয়। জ্বর-সর্দি-কাশিসহ সংশ্লিষ্ট উপসর্গ থাকলে তাদের মসজিদে নামাজ না পড়তে যাওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যেখানে উৎপত্তি সেই চিনেই করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ কমে এসেছে। তারা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আর একটু সচেতন হয়ে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পারলে মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমরাও অবশ্যই এই মহামারী থেকে সাতক্ষীরাকে রক্ষা করতে পারবো। এজন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *