আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে যাতায়াতের পথে কাটা ফেলে ও ঘেরাবেড়া দিয়ে পথ বন্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাদাকাটি গ্রামের রফিকুল সরদারের পুত্র আমজাদ হোসেনের সাথে আলাউল হকের পুত্র মাগফুরুল হকের ভিটে বাড়িতে যাতয়াতের পথ নিয়ে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব ছিল।
এনিয়ে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে উভয় পক্ষের ভিতরে আপোষ মিমাংসা করা হয় ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে। মিমাংসার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে লিখিত অঙ্গীকার নামা গ্রহণ করা হয়। যাতে ২য় পক্ষের (মাগফুরুল হক) জমির উপর দিয়ে ১ম পক্ষের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা, ২য় পক্ষের যাতয়াতের জন্য তার পশ্চিম সীমানা হতে ১ম পক্ষের জমিতে ও তার বিল্ডিং এর উত্তর সীমানা বরাবর প্রাইমারী স্কুলের পূর্বে ইট বিছানো রাস্তা পর্যন্ত পথ রাখা, যে পথ নির্মানে উভয় পক্ষ খরচ বহন করবে এবং ১ম পক্ষের তৎকালীন সময়ে যে কাচা বা খোলা পায়খানা ঘর আছে তা ২য় পক্ষ বাড়িতে উঠার পূর্বে ১ম পক্ষ উক্ত পায়খানা ঘর তার বিল্ডিং এর পূর্ব পাশে স্থাপন করবেন বলে লেখা হয়। সাথে সাথে ভবিষ্যতে যে কোন অমিল দেখা দিলেও উক্ত পনি নিস্কাশন ও যাতায়াত পথের কোন অসুবিধার সৃষ্টি করবেনা মর্মে অঙ্গীকার নামা লিখে স্বাক্ষীগণ ও উভয় পক্ষ স্বাক্ষর সম্পাদন করেন।
সেই থেকে উভয় পক্ষ যাতয়াতের পথটি শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবহার করছেন। কিন্তু দেড় মাস আগে ১ম পক্ষ পথে কাটা ফেলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি ও গেটে তালা লটকে দেন। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পথে ঘেরাবেড়া দিয়ে পথ বন্দ করে দেওয়া হয়। ফলে ২য় পক্ষ চরম বিপাকে রয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হাসান বাবুকে ২য় পক্ষ অবহিত করেছেন। কিন্তু কোনরূপ সমাধান হয়নি। পাশাপাশি বসবাসের ক্ষেত্রে সকলকে পারস্পরিক সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা করতে হয়। কমবেশি লাভ লোকশান মেনে নিয়ে বসবাসের মধ্যেই রয়েছে প্রতিবেশীর দায়দায়িত্তের হিসেব নিকেশ।
বিষয়টি নিরসনে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগি পরিবারটি।