Spread the love

জাহাঙ্গীর সরদার: নিয়োগের জন্য আবেদন না করেই সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ড. সিহাবউদ্দীনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন একটি কুচক্রীমহল। ইতিমধ্যে কতিপয় দুষ্টু লোকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাকবাসিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সানার স্ত্রী রেকসনা খাতুন ও স্থানীয় মনিরুজ্জামান কাল্পনিক টাকা ফেরতের দাবী জানিয়ে আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিনে কাকবাসিয়া এলাকার রোকসনা খাতুনের বাড়িতে এ ব্যাপারে জানতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার শ্বশুর বাবর আলী সানা বলেন, আমার বউমা ওই স্কুলে আয়া পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছেন কিনা সেটি আমরা বলতে পারবোনা বা কখনও শুনিনি। ছেলে দিন মজুরের কাজ করে। নিজেদের ঠিকমতো খাওয়া হয়না তাহলে আমার বউমা নিয়োগের জন্য ৮ লাখ টাকা কিভাবে সভাপতিকে দেবে? আমার মনে হয় আমার বউমাকে দিয়ে একটি মহল খেলা করাচ্ছে। এসময় রোকসানা খাতুনের মেয়ে জান্নাতী বলেন, আমি কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে পড়ি। আমার বা স্কুলে আবেদন করলেতো আমরা জানবো। আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।

রেকসনার বাবা রহমত সানা বলেন, সিহাব উদ্দীনকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি একদম বাজে কথা। টাকা দিতে হলে টাকা থাকা লাগেনা? আমার মেয়েদের তাই ঠিকমতো খাওয়া হয়না। ওরা এতো টাকা কিভাবে দেবে? আপনারা ওইসব কথায় বিভ্রান্ত হবেননা।
স্থানীয়রা বলেন, রেকসনা ও মনিরুজ্জামান সাংসারিকভাবে অস্বচ্ছল। নিয়োগের জন্য এতগুলো টাকা দেওয়ার সমর্থ তাদের নেই। স্থানীয় গ্রæপিং এর কারণে এই স্কুলটি দিনদিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সিহাবউদ্দীন অনেক ভাল মানুষ। তাদেও টাকার কোন অভাব নেই। তার বিরুদ্ধে এই সকল মিথ্যা অপপ্রচার আসলেই কষ্টদায়ক।

কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভীন সুলতানা বলেন, যারা নিয়োগের জন্য আবেদনই করেননি তারা অপপ্রচার চালিয়ে এই স্কুল, সভাপতি ও আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

ওই স্কুলের সভাপতি ড. সিহাবউদ্দীন বলেন, গত ১০ জুন ২০২৩ তারিখে কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কয়েকটি পদে নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। ১৫ দিনের মধ্যে প্রার্থীদেরকে আবেদন করতে বলা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। এরপর যারা আগ্রহী ছিলেন তারা ওই সময়ের মধ্যে আবেদন করেছিলেন। তবে রেকসনা ও মনিরুজ্জামান নামের কোন প্রার্থী নিয়োগের জন্য আবেদন করেননি। সম্প্রতি একজন গ্রামপুলিশ আমার কাছে নোটিশ নিয়ে এসে জানালেন যে আমি রেকসনার কাছ থেকে নাকি ৮ লাখ ও মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে নিয়োগ প্রদান করার জন্য ১০ লাখ টাকা নিয়েছি। যারা নিয়োগের জন্য আবেদনই করেননি তাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া অসম্ভব। আমার প্রতিপক্ষরা অসহায় ওই গৃহবধূ ও মনিরুজ্জামানকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আমার সম্মানহানির চেষ্টা করছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুসের কাছে কল দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *