Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার প্রায় ২০টি অসহায় পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের ধান্যহাটি গ্রামের রশিদ সরদারের স্ত্রী সুদে মহাজন নাজমা বেগম তার নিজ বাড়ীর ঘরে আগুন দিয়ে কয়েকটি সংখ্যা লঘু অসহায় নিঃস্ব পরিবারকে এ ঘর পোড়ানো মামলায় জড়ানোর পায়তারা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পারবারের লোকজন।

জানাগেছে, ধান্যহাটি গ্রামের বাবুলাল অধিকারীর স্ত্রী লতিকা অধিকারী, মৃত ধর্মদাশ চক্রবর্তীর ছেলে শিক্ষক তাপস চক্রবর্তী ও তার ভাই দেবব্রত চক্রবর্তী, তারক সরকারের ছেলে আশুতোষ সরকার ও তার ভাই সুকলাল সরকার বিভিন্ন সময় অর্থের সংকটের কারণে স্থানীয় সুদ মহাজন নাজমা বেগমের নিকট থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ করে। যা হাজারে ১০টাকা হারে প্রতিদিন সুদ দিতে হয় তাদের।

এব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে আশাশুনি থানায় শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে সকল প্রমানাদি বিশ্লেষণ করে একটি সুষ্ঠ সমাধান করে দেন আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ। শালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবার চেক, স্ট্যাম্প ফিরিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও সম্প্রতি নাজমা বেগম শালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ জজ কোর্টের শরনাপন্ন হন। তার কাছে থাকা ব্যাংক চেক ও স্টাম্পে নিজের মত অর্থ লিখে প্রত্যেক পরিবারের লোকজনদের নামে মামলা রুজু করেন।

এব্যাপারে আশাশুনি থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে অধিকাংশ মানুষ সুদে মহাজন নাজমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বক্তব্য দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) ইলতুৎ মিশ উপযুক্ত প্রমান সাপেক্ষে নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন। উপায় না পেয়ে সুদ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সুদ মহাজন নাজমা বেগম তার ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ এনে সাংবাদ সম্মেলন করেন। যা মিথ্যা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বর্তমানে নাজমার বিরুদ্ধে কোন মামলা করলে তাদেরকে ঘর জ্বালানো মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে নাজমা বেগম।

এবিষয়ে নাজমা বেগমের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে তার ছেলে জানান থানা পুলিশের ভয়ে প্রায় ১ মাস তিনি পলাতক।

এমতাবস্থায় রশিদ সরদারের স্ত্রী সুদ মহাজন নাজমা বেগমের হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংখ্যা লঘু অসহায় পরিবার গুলো।