Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: চাম্পাফুল আপ্রচ মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাসপেন্ড হওয়া কেন্দ্র সচিব ও অফিস সহকারী রবিবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে অবস্থান করায় দায়িত্বরতরা সহ অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।

শনিবার পরীক্ষার প্রথম দিন দায়িত্বে গাফিলতির কারণে কিছু পরীক্ষার্থীর হাতে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন তুলে দেওয়ায় পরীক্ষা এক ঘন্টা নেওয়ার পর বুঝতে পেরে ২০১৯ সালের সিলেবাস অনুযায়ী নতুন প্রশ্ন ও উত্তরপত্র সরবরাহ করে ২য় দফা পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা একটানা প্রায় ৪ ঘন্টা পরীক্ষা দিতে গিয়ে নাজেহাল হয় এবং অতিরিক্ত স্নায়ু চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীন ঘটনাস্থানে পৌছে দায়িত্বে অবহেলার কারনে কেন্দ্র সচিব সুখপদ বাইন (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক), ট্যাগ অফিসার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম মোস্তাফিজুর রহমান ও ক্লার্ক ইয়াছিন আলি বিদ্যুৎকে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব থেকে সাসপেন্ড করে তদস্থলে সহকারি সচিব আরিফুল ইসলামকে কেন্দ্র সচিব, প্রধান শিক্ষক ফারুক হাসানকে সহকারী কেন্দ্র সচিব এবং একটি বাড়ি একটি খামার কর্মকর্তা অভিজিৎ রানাকে ট্যাগ অফিসার হিসাবে দায়িত্ব অর্পন করেন।

রবিবার দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা চলাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশকে অমান্য করে অব্যাহতি প্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব সুখপদ বাইন ও ক্লার্ক ইয়াছিন আলি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তারা যথারীতি অফিস কক্ষে অবস্থান এবং মাঝে মধ্যে কেন্দ্রের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।

নব নিযুক্ত কেন্দ্র সচিব আরিফুল ইসলাম জানান, তারা দু’জনই কেন্দ্রে এসেছিলেন, তবে বেশী সময় ছিলেন না।

নব নিযুক্ত ট্যাগ অফিসার অভিজিৎ রানার সাথে মোবাইলে (০১৭১৮৩৪৭০৯৩) কথা বললে তিনি জানান, অব্যাহতি প্রাপ্ত সুখপদ বাইন কেন্দ্রে ছিলেন এবং তার চেয়ারে বসে ছিলেন। ক্লার্ককে তিনি দেখেননি।

সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে অব্যাহতি প্রাপ্ত ব্যক্তি কিভাবে কেন্দ্রে ঢুকলেন এবং পুরা সময় অঘোষিত দায়িত্ব পালন করলেন এনিয়ে অভিভাবক, পরীক্ষার্থী ও দায়িত্বরতদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।