Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরকিয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এদিকে ঘটনার পর ঝুলন্ত স্ত্রীকে রেখে ঘরের দরজায় তালা ঝুঁলিয়ে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে পালানোর ঘটনায় এলাকায় মৃত্যু নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত কৃষ্ণা বিশ্বাসকে (২০) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার হাদিপুর গ্রামের কালিপদ বিশ্বাসের মেয়ে ও কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের তাপস বিশ্বাসের স্ত্রী।

নিহত কৃষ্ণা বিশ্বাসের মা কৌশলা বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, দু’ বছর আগে তাপসের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর ছয় মাস আগে তাপস বাড়ি এসে মুকুন্দপুর গড়ের হাটখোলায় একটি চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করছিলো। মা ছাড়া কোন অভিভাবক না থাকায় পরকীয়া সন্দেহে তাপস বিভিন্ন সময়ে কৃষ্ণাকে মারপিট করতো। এরই জেরে বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নির্যাতন করার ঘটনা কৃষ্ণা তার মামা মানিক বিশ্বাসকে ফোন করে জানায়। সকাল ১০টার দিকে মারপিটের একপর্যায়ে কৃষ্ণাকে গলা টিপে হত্যার পর মৃতের গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেয়। বেগতিক বুঝে সে বাড়ির দরজায় তালা ঝুঁলিয়ে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

কালিগঞ্জ থানার ওসি হালিমুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *