Spread the love

এসভি ডেস্ক: তালিকা মাফিক চাঁদা না দিলে শ্যামনগরের আওয়ামী কর্মী এবং সাধারণ মানুষের নামে নাশকতার মামলা দিচ্ছে পুলিশ। আর টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে অভিযানের নামে শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নে চলছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের চাঁদাবাজি।

মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন চারজন ভুক্তভোগী।

তারা বলেন, আমরা নিজেরা খেটে খাওয়া মানুষ। বনবিভাগের কাছ থেকে পাস পারমিট নিয়ে সুন্দরবনের নদীতে কাঁকড়া অথবা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সৈনিক লীগের সাথে জড়িত। অথচ আমরাও বাদ পড়িনি পুলিশের নাশকতার মামলা থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানিকখালির ছলেমান গাজি ও নুর আলম এবং টেংরাখালির আবুল কালাম গাইন ও হযরত আলি। তারা বলেন গত ৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানার এসআই রোকন মিয়া বাঁদি হয়ে কালিঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ঘটনাস্থল দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি নাশকতার মামলা করেছেন। অথচ এ ঘটনা সম্পর্কে আমরা কেউ কিছু জানিই না। বর্তমানে এসআই হালিম ফোন করে বলছেন, টাকা দাও তাহলে তোমাদের গ্রেফতার করবো না।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, এই মামলা দায়েরের আগে এসআই হালিম রমজাননগর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সম্পাদক হায়াত আলির কাছ থেকে একটি তালিকা নেন। এই তালিকা অনুযায়ী তিনি ফোন করে ডেকে বলেন তালিকা থেকে তোমার নাম কেটে দেওয়া হবে। তবে টাকা দিতে হবে। তারা বলেন আমরা টাকা দিতে সম্মত না হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। একইভাবে কালিঞ্চি গ্রামের সিদ্দিক গাজি, আশরাফ গাজি, নুর মোহাম্মদকে জামাত বিএনপি বানিয়ে মামলা করা হয়েছে। তারা বলেন এমন তিনশ’ লোকের একটি কমপিউটার তালিকা তৈরি করে হায়াত আলি ও টেংরাখালির আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বারী পুলিশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। তারা এর প্রতিকার দাবিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য হায়াত আলি বলেন, আমি এমন কোনো তালিকা তৈরি করে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে ধরাইনি। এটা মিথ্যা প্রচার। এ সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। তিনি বলেন যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারাই তো জামায়াত বিএনপির লোক।