Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: মেরিন একাডেমিতে ৩৫তম স্থান অধিকারী সেই শামীম কবির নিরবের ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শামীম ও তার মায়ের হাতে টাকা তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান। এ ছাড়া তার মাসিক খরচের জন্য কিছু খরচ পাঠিয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান বলেন, ‘মেধায় টিকেও মেরিন একাডেমিতে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল শহরের চা বিক্রেতার ছেলে শামীমের। ভর্তি হতে পারছে না শামীম এমন একটি সংবাদ জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।অর্থের অভাবে এমন একজন মেধাবী ছাত্র ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, ‘সংবাদটি দেখার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকীকে জানালে তিনি তার ভর্তির সব খরচ বহনের সিদ্ধান্ত নেন। রোববার দুপুরে শামীম এবং তার মায়ের হাতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তার সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের এসব মেধারীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে এসব ছাত্ররা অভাবের কারণে হারিয়ে যাবে না।’ ওরা বিকশিত হয়ে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ভর্তির টাকা পেয়ে শামীম জানায়, ‘পুলিশ সুপার আমার ভর্তির টাকা দিয়েছেন। এজন্য ওনার ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতাজ্ঞতা জানাচ্ছি। সাতক্ষীরার এসপি আমার স্বপ্নপূরণ করলেন। তিনি যদি আমার ভর্তির টাকা না দিতেন তাহলে স্বপ্নের মেরিন একাডেমিতে হয়তো ভর্তি হতে পারতাম না। এ ছাড়া অনেক মানুষ আমার সহযোগিতা করতে চেয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীর মা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘ছেলের ভর্তির টাকা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কয়েকজন হৃদয়বান ব্যক্তি পড়াশোনার জন্য মাসিক খরচ দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমাদের ছেলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের সেবায় কাজ করতে পারে সবার কাছে সেই দোয়া চাচ্ছি।’

তার পিতা সিদ্দিকুর রহমানও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, মেধায় টিকেও টাকার জন্য মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হতে পারছিল না শামীম কবির নিরব। অনিশ্চিয়তায় দিন কাটছিল তার। ভর্তি হতে তার প্রয়োজন ছিল এককালীন এক লাখের বেশি টাকা। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তাই ভর্তি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ছিল শামীমের পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *