কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেনজির হেলাল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্মকর্তা নূরননাহার ও উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়ে ৬ নং ওয়ার্ডের উঃ সোনাবাড়িয়া গ্রামের (প্রবাসী) শহিদুল ইসলাম (চাচা আসাদুল) এর মেয়ে সাহিনা আক্তার সাথী (১৭) ও একই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ভাদিয়ালী গ্রামের আসাদুলের ছেলে আরিফুল (২০) এর বাল্যবিয়ের বিষয়টি বন্ধ করলো কলারোয়া থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মতো সাহিনা আক্তার সাথী (১৭) পূর্ব পরিকল্পনায় কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রেমিক আরিফুলের সাথে তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেনজির হেলাল মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাত্র ৯ টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে মেয়েটিকে তাৎক্ষণিক ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারের জিম্মায় রাখেন। ঘটনাটি জানতে পেরে জেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক প্রধান সাকিবুর রহমান বাবলার পরামর্শে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সদস্য জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জেলা তাঁতীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট টিপু, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সাংবাদিক মেহেদী সোহাগ ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সাংবাদিক এস,এম ফারুক হোসেন, সীমান্ত সম্প্রতি সংঘের সভাপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুসসহ একটা টিম বুধবার সকালে ১ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর নাদিরা বেগমের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতে চেয়ারম্যান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন,কলারোয়া থানা পুলিশ ও জেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক প্রধান সাকিবুর রহমানের সাথে বাল্যবিয়ের প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করলে পরবর্তীতে কলারোয়া থানা পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় বাল্যবিয়ের কনে সাহিনা আক্তার সাথী ও বর আরিফুল কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কে সাথে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
কনের ওয়ার্ডের মেম্বর সাথী জানান, আরিফুলের নানার বাড়ি ও আমাদের বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় নবম শ্রেণীতে পড়তে পড়তে ওর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, পরবর্তীতে আমি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমরা পালিয়ে কোর্ট থেকে বিয়ে করি কিন্তু বাড়িতে জানাজানি হলে আমাকে ও আমার মাকে আমার চাচা মারধোর করে ডিভোর্স করে দেয়। এখনও আরিফুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রাখায় আমাকে ও আমার মাকে মারধোর করে বলে আমি আরিফুলের বাড়িতে চলে এসেছি। আমার বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমি প্রয়োজনে মহিলা মেম্বরের বাড়িতে থাকবো মরে গেলেও আমি অন্য কোথাও যাবো না। কনে সাথীকে তার বাবার কথা বললে সে বলে আমার বাবার সাথে আমার বিয়ের ঝামেলার পর থেকে আমার সাথে কথা হয় না।
এবিষয়ে কনে সাথীর মায়ের মোবাইলে যোগাযোগ করলে সাথীর চাচাতো ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে রানা নামে একটা ছেলে জানায় সাথীর সাথে তাদের আগেও কোন সম্পর্ক ছিলো না এখনো নাই। বাংলাদেশ সরকারের বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন বাস্তবায়নে সঠিক তদন্তে আরিফুল ও সাথীর বাল্যবিয়ে রোধে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।