Spread the love

কলারোয়া প্রতিনিধি: ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজে দায়িত্বে থাকা জালালাবাদ ইউনিয়নের (লিভার সরদার)দের কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫০০ শত টাকা করে নেয়ার সময় হাতে নাতে ধরা পড়েছে কলারোয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম।

রোববার সকালে উপজেলা জালালাবাদ ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজে দায়িত্বে থাকা ৯ জন ব্যক্তির মাঝে ২ হাজার টাকা হারে চেক প্রদান করার কথা । সেখানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে চেকে স্বাক্ষর করে নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে উপজেলা পিআইও অফিসে নিয়ে আসেন। ওই সময় ২০০০ হাজার টাকা থেকে নগদ ৫০০শত টাকা জোর পূর্বক কেটে নিয়ে ১৫শত টাকা করে তাদের হাতে ধরিয়ে দেয় হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদার কাছে অভিযোগ আকারে আসলে তিনি ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘুষ গ্রহণের টাকাসহ দেখতে পান। তখন তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহানকে অবহিত করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে ওই টাকা ফেরত দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম।

কলারোয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা জানান, জালালাবাদ ইউনিয়েনের ৮নং ওয়ার্ডের আকবার মোল্লার ছেলে কামরুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের মৃত খোদা বক্স এর ছেলে রফিকুল ইসলাম, ১নং ওয়ার্ডের নিছার আলীর ছেলে আরশাদ আলী, ২নং ওয়ার্ডের মৃত আবু তালেবের ছেলে নুরুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডের মহিউদ্দীন সরদারের ছেলে ফিরোজ ও মনজুরুল ইসলামের ছেলে আরিজুল ইসলামসহ ৯ জনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা হারে জোরপূর্বক গ্রহণ করেন রফিকুল ইসলাম। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ওই অফিসে যায় এবং বিষয়টির সত্যতা পায়। পরে জনগনের চাপের মুখে ওই টাকা ফিরত দিতে বাধ্য হন রফিকুল ইসলাম। তিনি দীর্ঘদিন এ ধরনের কাজ করে আসছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহানের সেল ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজে দায়িত্বে থাকা অসহায় লিভার সরদাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *