Spread the love

কামরুল হাসান:  রমজানের আগেই কলারোয়ায় বেড়ে চলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে গেলো সপ্তাহের চেয়ে অনেক বেশি।

জানা গেছে, লকডাউনের কারণে পরিবহন খরচ বেশি ও সরবরাহ কমের কথা বলে ব্যবসায়ীরা এসকল পণ্যের দাম বেশি হাঁকাচ্ছেন। অনেকটা ইচ্ছেমাফিক লাভ করে নিচ্ছেন তারা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষ। কলারোয়া পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায় আর খুচরা ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। রসুন প্রতিকেজি পাইকারি ৭০-৮৫ টাকা আর খুচরা ১২০-১৩০ টাকা, আলু পাইকারি ২০-২১ টাকা ও খুচরা ২২-২৫ টাকা। শুকনো মরিচের দাম প্রতি কেজি ৩০০-৩৩০ টাকা।

কলারোয়া সরকারি কলেজ মাঠের কাঁচা বাজারে গিয়ে কথা হয় নরসুন্দর মুকুন্দ এর সাথে  তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৪৫টাকা কেজি। শনিবার সেটা ৫৫ টাকায় কিনতে হলো। রসুন কিনলাম ১২০ টাকা কেজিতে।

খুচরা কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী লিটন হোসেন জানান, তুলনামূলক বেশি দামে নিত্যপণ্য তাদের কিনতে হচ্ছে, তাই সামান্য লাভে সেটা একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘লকডাউনের কারণ দেখিয়ে পাইকারি বাজারে জিনিসের দাম বেশি। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। ১৫ দিন আগে শুকনো মরিচের কেজি ছিল ২৫০ টাকা, এখন তা ৩৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

পাইকারি নিত্যপণ্য ব্যবসায়ী পরিতোষ কুমার বলেন, প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকায় পরিবহন খরচ গাড়িপ্রতি বেড়েছে প্রায় দুই হাজার টাকা। তারপরও মালের ঘাটতি রয়েছে। চাইলেই পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, তিনি দাবী করেন অন্য এলাকা থেকে কলারোয়ায় জিনিসের দাম কম।

কলারোয়া উপজেলা নিবাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, নিত্যপণ্যের ঘাটতি থাকার কথা না। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যানবাহন ও সরবরাহে কোনো বাধা নেই। ব্যবসায়ীরা এসব অজুহাতে ক্রেতাদের জিম্মি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজার মনিটরিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে, স্বল্প আয়ের সাধারণ ক্রেতারা বাজার মনিটরিং ও তদকারী বাড়াতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *