Spread the love

এসভি ডেস্ক: ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের বিচার করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১১ মার্চ) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ রায় দেন।

গত বছর ১২১ শিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড প্রদানকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত বলেছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান সংবিধানের ৩৩ এবং ৩৬ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। 

রায়ে আদালত বলেছেন, মোবাইল কোর্ট আইনের ৬ ধারা, মাদকদ্রব্য আইনের ৫২ ও ৫৭ পরস্পরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কোনো অবস্থাতেই শিশুদের সাজা দিতে পারবে না। শিশুদের শুধুমাত্র শিশু আইনের মাধ্যমে দণ্ড আরোপ করা যাবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দণ্ড দেয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম, আক্তারুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচারিক ক্ষমতার বিচারিক ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার) বাতিল চেয়ে এক সম্পূরক রিট আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেয়নি আদালত। 

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল হালিম ও আইনজীবী ইশরাত হাসান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেওয়া দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া দণ্ডে যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্তরীণ ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালতের আদেশে পরে এসব শিশুদের মুক্তি দেওয়া হয়।

‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে আদালত শিশুদের মুক্তির নির্দেশ ও রুল জারি করেন।

প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি ফাউন্ডেশন) চেয়ারম্যান আইনজীবী আব্দুল হালিম ও সংস্থাটির পরিচালক আইনজীবী ইশরাত হাসান। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *