Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনি সদর ইউনিয়নের জেলেখালির দক্ষিণ পাড়া শ্মশান ঘাট থেকে কাজল মন্ডল এর বাড়ি গামি রাস্তায় ইটের সোলিং এর কাজ চলছে সীমাহীন অনিয়মে। কোন রকম নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। তবে অনিয়ম যার মাধ্যমে হচ্ছে তিনিউ আবার ওই রাস্তার কাজ উদ্বোধন করেছেন জাঁকজমকভাবে। ফলে সীমাহীন ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

সরেজমিনে যেয়ে জানা যায়, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় আট টন চাউল মূল্যে ৫০০ মিটার রাস্তায় ইটের সোলিং এর কাজ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার জ্যাকজকমভাবে ওই রাস্তার ইটের সোলিং এর কাজের উদ্বোধন করেন আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল। ২ ও ৩ নং ইট দিয়ে কাজ করা হলেও উদ্বোধনের সময় তিনি ইটের গুনগত মান সম্পর্কে কোন খোঁজ খবর নেন নি। বরং ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে ওই রাস্তার কাজের উদ্বোধন করে আনন্দিত হয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শম্ভুজিৎ মন্ডল বলেন, এক নং ইট দিয়ে না দের নং ইট দিয়ে ওই রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। দের নং ইট দিয়ে কাজ না করালে ওই রাস্তার সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। কোন ঠিকাদার ওই কাজ করছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা ওই কাজ করছেন। এখানে কোন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়নি।

এ দিকে নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না জানিয়ে ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, ইটের রাস্তার পাশে ৩ ফুট জায়গা থাকার কথা, বেডে বালু দেওয়ার কথা ৯ ইঞ্চি, আর ইট দেওয়ার কথা ১ নং। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খানের যোগসাজসে ইটের এজিং এর পাশে মাটি না দিয়ে, বেডে ৬ ইঞ্চি বালু এবং ২ ও ৩ নং ইট ব্যবহার করে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল নিজের পকেটের লোক দ্বারা রাস্তার ওই কাজ করাচ্ছেন।

তবে আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান বলেন, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাটা হতে ১নং ইট এনে ওই রাস্তার কাজ করানো হচ্ছে। ওই রাস্তার কাজে কোন অনিয়ম করা হচ্ছে না।

এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কথা যদি সঠিক হয় তবে কি ১ নং ইট দেওয়ার কথা বলে উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাটার সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা ২ও ৩ নং ইট দিচ্ছেন আর টাকা নিচ্ছেন ১ নং ইটের নাকি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে আওয়ামী লীগ নেতা অনিয়ম করছেন! এমন প্রশ্ন স্থানীয় সচেতন মহলের।

তবে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে এমন আশ্বাস দিয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, সরকারী রাস্তার কাজে কোন প্রকার অনিয়মের সুযোগ নেই। সরেজমিনে আমি পরিদর্শন করে যদি কোন অনিয়ম দেখতে পাই তবে অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *