মাসুদ পারভেজ, কালিগঞ্জ: নিজের মাথায় মাটির ঝুড়ি নিয়ে জনগণের সাথে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণকাজে অংশ নিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।
২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের নৈহাটি গ্রামের দীর্ঘদিনের রাস্তা সমস্যার সমাধান করেন এবং সড়ক নির্মাণকাজে জনগণের সাথে মাথায় মাটির ঝুড়ি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর মাথায় মাটির ঝুড়ি দেখে এলাকার মানুষ অভিভূত হয়ে পড়েন। এলাকার জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও স্কুল কলেজের ছাত্র শিক্ষক মিলে জাতীর শিক্ষার ঋণ শোধ করার জন্য ওই সড়ক নির্মাণের কাজ করেন।
এসময় এলাকাবাসী জানান, গতকাল সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী নিজেই সবাইকে সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে নৈহাটি গ্রামের প্রায় ৫০০ ফুট লম্বা রাস্তার মাটি ভরাট কাজ শুরু করেন। এর আগে রাস্তাটি গ্রামের অন্য পাশ দিয়ে চলাচল করতো এলাকার সাধারন মানুষ। উপজেলা চেয়ারম্যার সাঈদ মেহেদীর মাটির ঝুড়ি মাথায় নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণের ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
এরপর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিভিন্ন জনতাদের নিজস্ব ফেসবুক থেকে পোস্ট দেয়া শুরু করে। সাঈদ মেহেদীর এই উদ্যোগকে সাতক্ষীরা জেলার মানুষ স্বাগত জানিয়েছেন। এতে করে চেয়ারম্যানের প্রতি বেড়েছে মানুষের শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা। এ মহৎ কাজে অংশ নেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার নরিম আলী মুন্সি, উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজি শওকাত হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ: কাশেম গাইন, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের উপজেলা আওয়ামী তথ্য-প্রযুক্তি লীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ ক্যাপ্টেন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক সাজেদুল হক সাজু প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী জানান, প্রত্যেক মানুষকে সাধ্যমত সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। এখানে আমি একা কিছু করিনি। আমরা সবাই মিলেমিশে দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই। নৈহাটির মানুষ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাজ এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী ৫ দিনের মধ্যে নৈহাটির রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।