মাসুদ পারভেজ, কালিগঞ্জ: দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা বেগমকে হত্যার পর টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখে স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে জিডিও করেছিলেন ঘাতক শহিদুল ইসলাম।
আজ আটকের পর পুলিশের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ লুকিয়ে রাখার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে শহীদুল ইসলাম জানায়, ১৭ নভেম্বর শ্বাসরোধ করে মারুফাকে হত্যার পর পুকুরের মধ্যদিয়ে মরদেহ টেনে প্রতিবেশীর টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছিলাম। এরপর গত ১৯ নভেম্বর আমার স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে মর্মে কালিগঞ্জ থানায় জিডি করেছিলাম।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোনাতলা গ্রামের কাঁলাচাঁদ কারিগরের ছেলে শহীদুল ইসলাম গত ১৭ নভেম্বর রোববার থেকে স্ত্রী মারুফা বেগম (২৬)কে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় ১৯ নভেম্বর থানায় একটি জিডি করেন। কিন্তু তার কথাবার্তায় শুরু থেকে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তদন্ত কাজ চালাতে থাকে। এরমধ্যে (আজ) বুধবার তার বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পাশের টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে উৎকট গন্ধ আসতে থাকলে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুকিয়ে রাখা লাশ টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়।