এসভি ডেস্ক: পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাবা হারিয়েছে যমজ শিশু। তাদের বয়স মাত্র এক বছর।
তারা এইচ এম কাওসার আহমেদ ছেলে।
স্বজনরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাওসার। চকবাজার শাহী জামে মসজিদ এলাকার আল-মদিনা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলায়।
কাওসারের ভাই হাফিজ আহমেদ বলেন, দোকানটির আয় দিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ চালাতেন তিনি।
পরিবারের ভরণপোষণের ভারও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন।
প্রতিদিনের মতো বুধবারও ফার্মেসিতে যান কাওসার। কিন্তু ভয়াবহ আগুন তার প্রাণ কেড়ে নেয়। সঙ্গে মারা যায় একই দোকানে থাকা আরও কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার সকালে কওসারের লাশের সন্ধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে যান স্বজনরা। তাদের সঙ্গে রয়েছে দুই শিশুও।
সন্তানের মৃত্যুতে বারবার মূর্চ্ছা যাচ্ছেন কাউছারের মা। কাঁদতে কাঁদতে বুক চাপড়ে বলছেন, ‘আমার কাউছার কই। আমার বুকের ধনকে আমার বুকে এনে দে।’
চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনে এখনো পর্যন্ত ৭০ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে এ আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার।
এ ঘটনা আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল। ভবনের পাশেই ছিল বেশ কিছু রেস্তোরাঁ। সেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচটি করে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় এসব গ্যাস সিলিন্ডারও বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে এক কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের প্রাণহানি হয়।