Spread the love

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নূরুল ইসলাম বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে লড়াই করেছিল। এদেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, সকলেরই। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনও স্থান নেই।

মঙ্গলবার (১৮ ই ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে লাঙ্গলঝাড়া বাজারে এড মুস্তফা লুৎফল্লাহ এমপি’র নৌকা প্রতিকে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন শেষে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথী’র বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর প্রার্থী বা তাদের সমর্থকরা বিজয় উল্লাস করেন। কিন্তুু ২০০১ সালে বিএনপি- জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর এদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নারকীয় তান্ডব চালায় যা আমরা ভুলিনি।

২০১৩-১৫ সালে সারাদেশে আগুন ও পেট্রোল সন্ত্রাসের কথা জাতি কোন দিন ভুলবে না। আসলে এ চক্র এমনি যে, ক্ষমতায় থাকলেও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আবার ক্ষমতার বাহিরে থাকলেও করে। আমাদের দূর্ভাগ্য ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির জ্বালাও পুড়াও সময়কালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দীতায় অনেক এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। সেই কারণে আমরা কোন নির্বাচনী সভা-সমাবেশ ও প্রচারণায় অংশ নিতে পারিনি। এবার ভোটের মাঠে নেমে বন্ধু আর শত্রু চিনতে পেরেছি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক আর মুক্তিযুদ্ধার চেতনা বিশ্বাসী। সেই কারণে ছোটখাটো মনোমালিন্য ভুলে গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে আমাদের এই কয়েকটা দিন নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিক নৌকা, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিক নৌকা, ঐতিহাসিক মার্কা নৌকা। বাংলার স্বাধীনতার স্বপক্ষের জনতা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কোন অপশক্তি নৌকার বিজয় ঠেকাতে পারবেনা।তাই আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানাই। নৌকা তৈরীর কারিগর লাঙ্গলঝাড়া উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত শামসুর শেখের ছেলে শাহাজান শেখ। তিনি কাঠের তৈরী করা ৩টি নৌকা বিনা পারিশ্রমে উপহার দেন অফিসের জন্য। তার বিরুদ্ধে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যা অত্যান্ত দুঃখজনক বলে দাবী করেন বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাদের মল্লিক, কবীরুল ইসলাম, আব্দুল বারীক, হাসান শেখ, নূর হোসেন, আব্দুল কাদের, আরিজুল ইসলাম, দুখে শেখ, শফি শেখ, রফিকুল ইসলাম, আজিবার রহমান, ডাক্তার হেলাল, আনিছুর মেম্বার, রেজাউল করীম, মাস্টার শামীম, যুবনেতা শাওন রহমান ও অনিক আহম্মেদ প্রমুখ।