Spread the love

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রকে একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।

শনিবার সকাল ১০টায় দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বিনোদন মূলক পর্যটন কেন্দ্র রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পায়ে হেটে বিভিন্ন প্রজাতির বনবৃক্ষে ঘেরা রুপসী ম্যানগ্রোভ কেন্দ্রটির ভিতরে বাঁশের তৈরি রং বেরং এর ট্রেইল দিয়ে ইছামতি নদীর পাশে দাড়িয়ে কিছুক্ষণ ভারত বাংলা সীমান্তের সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন। এরপর তিনি ম্যানগ্রোভের পাশে অবস্থিত বিশাল আকারের পুকুরের পাড়ে বসানো কৃত্রিম ভাবে নির্মিত কুমির, বাঘ, সিংহ, হরিণ, বক, জিরাফ সহ বিভিন্ন প্রকার পশুপাখি ও জীবজন্তুর দৃশ্য অবলোকন করেন।

তাছাড়া ছোট ছোট সোনা মনিদের আনন্দ বিনোদনের জন্য নির্মিত স্লিপার, দোলনাসহ অবসর বিনোদনের বিভিন্ন খেলনা পরিদর্শন করে সুন্দর মনোরম পরিবেশ তৈরি করার জন্য এবং পর্যটন কেন্দ্রটি আরো উন্নয়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদকে দিক নির্দেশনামূলক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা দেবহাটা উপজেলা শিবনগর চরে অবস্থিত রুপসী ম্যানগোভ পর্যটন কেন্দ্র এখন সব সময় দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিনোদন প্রেমী দর্শনার্থীরা আনন্দ উপভোগ করতে ভিড় জমান মিনি সুন্দরবন নামে খ্যাত রুপসী ম্যানেগ্রাভ পর্যটন কেন্দ্রে। এখানে প্রতিদিন দুর দুরান্ত থেকে আসছে যুবক-যুবতী, নারী-পুরুষ, শিশু সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। যা ইতিমধ্যে দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র অন্যতম একটি পর্যটন শিল্প হিসাবে গড়ে উঠেছে।

তৎকালীন সময়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম তরিকুল ইসলামের একান্ত প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এই দেবহাটা রুপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র এর উদ্বোধন করেন। তার পর থেকে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদের যোগদানের পর ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রটি আরো সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে রয়েছে কেওড়া, গোল পাতা, সুন্দরী সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, দিঘী, রেস্ট হাউজ।

ছোট ছোট দর্শনার্থী সোনা মনিদের আনন্দ দেওয়ার জন্য কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে কুমির, বাঘ, সিংহ, হরিণ, বক, জিরাফ সহ বিভিন্ন প্রকার পশুপাখি। এছাড়া পুকুরে পর্যটকদের জন্য প্যাডেল নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে। যা চড়ে দর্শনার্থীরা কিছুটা আনন্দ উপভোগ করতে পারবে। পর্যটকদের বনের ভেতরে প্রবেশের জন্য তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দিত রং বে-রঙের বাঁশের তৈরি ট্রেইল। যা দিয়ে দর্শনার্থীরা যেতে পারবে ইছামতি নদীর তীরে। উপভোগ করতে পারবে ভারত-বাংলা সীমান্তের বিভিন্ন দৃশ্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদ, দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক উজ্জল মৈত্র, সেকেন্ড অফিসার ইয়ামিন আলী, দেবহাটা প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক মোমিনুর রহমান, রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব লিটু, প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য এসএম নাসিরউদ্দীন, এমএ মামুন, কবির হোসেন, নির্মল কুমার মন্ডল প্রমূখ।