Spread the love

এসভি ডেস্ক: পৃথিবীর ধ্বংসের দিন সমনেই আসছে, বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর প্রথিবীর ধ্বংসের সম্ভাবনা নিয়ে তোলপাড় দেখা গিয়েছিল বিশ্বে। তবে সেটি সত্য হতে দেখা যায়নি। এরপর শোনা গিয়েছিল ২০২০ সালে ২১ মে জুন সূর্য গ্রহণের দিন পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে। তবে সে বিষয়য়েও পৃতিবী রক্ষা পেল আরেকবার।

তবে এবার শোনা গিয়েছে, মায়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২১ সালেই পৃথিবী শেষ হতে চলেছে। এ বিষয়ে কনস্পিরেসি থিয়োরিস্টরা বলেছিলেন, এই ক্যালেন্ডার এর শেষ দিন অর্থাৎ ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে।
কিন্তু সে দিন কিছুই হয়নি। তবে প্রায় ৮ বছর পর ফের থিয়োরিস্টরা বলেছেন, ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে আমরা এখনও ২০১২ সালেই আছি। এই পরিবর্তনের কারণে গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারে ১১ দিন করে পরিবর্তন হয়। তার মানে ২৬৮ বছর ধরে গ্রেগারিয়ান ক্যালেন্ডার (১৭৫২-২০২০) প্রতিবার ১১ দিন বিয়োগ দিলে ২৯৪৮ দিন ব্যবহার করে। ২৯৪৮ দিনকে ৩৬৫ বছর দিয়ে ভাগ করলে = ৮ বছর। সেই হিসাব মতোই ২০১২ সালের ঠিক ৮ বছর পর হচ্ছে ২০২০। এর এই বছরেই পৃথিবীর ধ্বংসের সম্ভাবনা বলছেন তারা।

এ বিষয়ে প্রথমে বলা হয়েছিল ২০২০ সালের ২১ জনি দিনটি পৃথিবীর ধ্বংসের দিন। পাশাপাশি এই দিনটি ছিল অন্তত গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ ওই দিন ছিল সূর্য গ্রহণ ও বছরের সবচেয়ে বড়দিন। কিন্তু সাড়ে পাঁচ মাস কেটে যাওয়ার পর পৃথিবী ও বাসিন্দারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। একের পর এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে এই বছর। বরাবর মৃত্যুর মুখে পড়েছে মানব সভ্যতা। করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পরপর হতে থাকে ভূমিকম্প শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সবকিছু মিলিয়ে পৃথিবী ধ্বংসের আশঙ্কা অনেকেই সত্যি বলে মনে করেছিল।

তবে এবার ২০২১ সালে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠে সেদিন আগত সুর তুলেছেন মায়া ক্যালেন্ডার এ বিশ্বাসী অনেকেই। যদিও ২০২১ সালেল ভবিষ্যৎ বাণী নাকি আরও ভয়ংকর।

জানা গেছে, ২০২১ সালের জন্য নাদামুসের একটি ভবিষ্যৎদ্বাণী ছিল, রাশিয়ার এক জৈববিজ্ঞানী এমন এক জৈবাস্ত্র তৈরি করবেন যা ধ্বংস করে দেবে গোটা পৃথিবীর মানুষকে। অন্যদিকে পৃথিবী ধ্বংসের আগে ঘনঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দুর্ভিক্ষ মহামারী ভূমিকম্প হবে বলে দাবি বিজ্ঞানী মহলের একাংশের।

করোনার পরও পৃথিবীর এক বিশাল খাবারের সংকট হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অনেক বিজ্ঞানীরা গোটা পৃথিবীতে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ বসবাস করেন সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। যেভাবে উষ্ণায়ন হচ্ছে তাতে রোগী বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। ফলে কোনা একটা সময় উপকূলবর্তী অঞ্চলে সমুদ্রের নিচে ডুবে যাওয়া ও সম্ভব কিছু নয়।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি বছরে অনেক গবেষণা করার পর এই সময় বেছে নেওয়া হয়েছে এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়েছিল।
গবেষকরা দাবি করেছে, মানব সভ্যতা আর তিন দশকের বেশি টিকে থাকব না এর নেপথ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *