নিজস্ব প্রতিনিধি: কার্লভাট নির্মাণের সময় পাথরের ভেতর ইটের খোয়া। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই পাথরের ভেতরে ইটের খোয়া আগে থেকে রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় ঠিকাদারের ম্যানেজারের জোচ্চুরি হাতে নাতে ধরে ফেলেন ইঞ্জিনিয়ার। ফলে ঢালায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিমাণ অনুযায়ী সম্পূর্ণ পাথর দিয়ে ঢালায় না দেওয়া পর্যন্ত ওই কাজ বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রজেক্ট সাব-এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুজন শেখ।
রোববার(৭ মার্চ) দুপুর ২ টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী ইউনিয়নের ভাদড়া বাজার খোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকৌশলী অফিস(এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, কুশখালী ইউনিয়নের ভাদড়া বাজার খোলা এলাকায় রাস্তায় পিচের কার্পেটিং হবে। ওইখানে ২টি কার্লভাট বরাদ্দ আছে। একটি পাইপের কার্লভার্ট। যার বরাদ্দ ৪০ হাজার টাকা। আর একটি পাথররের কার্লভার্ট। পাথরের কার্লভার্ট এর বরাদ্দ ৮০ হাজার টাকা। ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দের ওই কার্লভার্ট এর ছাদ সম্পূর্ণ পাথর দিয়ে ঢালায় হবে। ছাদ ঢালায়ে ব্যবহৃত হবে ৩০ সেপ্টি পাথর।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মুজিদসহ অনেকেই বলেন, বাজারখোলা এলাকায় ২ টি কার্লভাট নির্মাণ শুরু করেন আশাশুনির খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার শাহনেওয়াজ ডালিম। রাস্তায় তার কাজের ম্যানেজার হিসেবে তদারকি করছেন হযরত আলী। হযরত আলী ঠিকাদারের অজান্তেই কাজের শুরুতেই কার্লভার্ট এর দুই পাশের দেয়াল গেঁথেছেন ২ নং ইট দিয়ে। এরপর আজ ওই কার্লভার্টের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করার সময় ইঞ্জিনিয়ার আসেন। তিনি পাথর মেপে দেখেন ঠিক আছে কিনা? মাপার সময় তিনি হঠাৎ পাথরের ভেতরে ইটের খোয়া দেখতে পান। তখন স্থানীয় এক যুবক পাথর আলগা করলে পাথরের ভেতরে গোপনে রাখা ইটের খোয়া দেখতে পান। সাথে সাথে তিনি কাজ বন্ধ করে দেন।
কাজ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রজেক্ট সাব-এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুজন শেখ বলেন, কাজ পরিদর্শনে যেয়ে পাথরের ভেতরে খোয়ার মিশ্রণ লক্ষ করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া পাথরের পরিমাণও কম ছিল। সঠিকভাবে কাজ না হওয়া পর্যন্ত ওই কাজ বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে হযরত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি টিকাদারের সাথে কথা বলতে বলেন।
আশাশুনির খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার শাহনেওয়াজ ডালিমের কাছে কল করে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।