Spread the love

মুন্না, কলারোয়া: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দলীয় প্যাডে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেম্বর জয়দেব কুমার সাহার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার সকালে কলারোয়া উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন জয়নগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তারুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে আক্তারুল ইসলাম বলেন, জয়দেব কুমার আমাকে দোস্ত দোস্ত বলে ডাকে। সে এবার ইউপি নির্নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। গতকাল রাত ১১ টা ৫৬ মিনিটে আমাকে কল করে বলে দোস্ত তুমি কোথায়? আমি বলি, ‘আমি ঘেরে আছি’। এরপর আধাঘন্টার ভিতরে সে আমার ওখানে যেয়ে বলে দোস্ত এই দলীয় প্যাডে একটা সই দাও। আমি বলি কিসের দলীয় প্যাড। তখন সে বলে ‘উপরের নির্দেশ আছে। তুমি সই দাও।’ আমারও একটা মতামত আছে জানিয়ে তখন আমি বলি ‘আমি সই দেবনা।’ তখন ওর সাথে আমার কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর হাফেজ নামের একটা ছেলে আমাকে জাপ্টে ধরে এবং অপরিচিত একজন এসে আমার মাথায় বন্দুক ধরে। আমি তখন বলি আমাকে মেরোনা, আমি সই দিচ্ছি। এরপর সই নিয়ে চলে যাওয়ার সময় আমাকে বলে, তুই যদি একথা বলিস তোর মাথার খুলি উল্টিয়ে দেবো এবং তোর পরিবারের কাউকে বাঁচতে দেবনা। আমি এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান মাস্টার বলেন, যারা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন তারা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আগামীকাল আবেদন করবেন। তার আগেই গতকাল রাত ১২ টার দিকে মাথায় পিস্তল ঠেকানোর বিষয়ে আক্তারু আমাকে জানালে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি। সত্যি যদি এমন ঘটনা জয়দেব কুমার ঘটায় তবে সেটি খুবই দুঃখজনক। এছাড়া এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাই কমান্ডের কাছে সুপারিশ করবো।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মেম্বর জয়দেব কুমার সাহা সাতক্ষীরা ভিশনকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেটা বলা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বর্তমানে জনপ্রিয়তায় আমি এগিয়ে আছি। এজন্য আমার প্রতিপক্ষরা আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের নাটক সাজাচ্ছে।

কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান সাতক্ষীরা ভিশনকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে কিছুই শুনিনি। খোঁজ নিয়ে পরে জানাতে পারবো।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবির সাতক্ষীরা ভিশনকে বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *