Spread the love

এসভি ডেস্ক: খুলনায় করোনা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। 

সোমবার (২০ জুলাই) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ আলীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও একদিন পরে সোমবার বিকালে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্য ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা তদন্ত শেষ করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এখনই সব কিছু স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছি।

জানা যায়, খুমেক হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারী (লিফটম্যান) নওশাদ টাকার বিনিময়ে নগরের বিকে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে নমুনা আইডি কেএমসি-২০০২৩ এবং পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নমুনা আইডি কেএমসি-১৯০৩১ তে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তারা দু’জনই করোনা পজিটিভ হয়। তাদের যে আইডির মাধ্যমে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছিলো তাও ভুয়া প্রমানিত হয়েছে।

এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে খুলনা জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালকের একজন প্রতিনিধি তদন্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *