Spread the love

দেবহাটা প্রতিনিধি: কবুতর চুরি করে এবার ধরা খেলেন যুবক রাসেল আহমেদ।

সাতক্ষীরার দেবহাটার দাদপুর ও পাশ্ববর্তী টাউনশ্রীপুরসহ আশপাশের এলাকার মানুষদের বাড়ী ও খামার থেকে কবুতর চুরি করে তিনি নিজের বাড়ীর পরিত্যাক্ত একটি রান্নাঘরে তৈরী করেছিলেন কবুতরের খামার।

রাসেল আহমেদ দেবহাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের বাবলু সরদারের ছেলে ও একটি সরকারী চাকুরী করেন।

বুধবার দেবহাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান বাবলু, আজগর আলীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও স্থানীয় শতাধিক মানুষের সামনে রাসেলকে জুতাপেটা করে তার বাবা বাবলু সরদার। একপর্যায়ে চাকুরী বাঁচাতে চুরিকৃত প্রায় আড়াইশ কবুতর মালিকদের ফেরত দিয়ে এবং ভরা মজলিসে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে এযাত্রায় রেহাই পেয়েছেন রাসেল আহমেদ।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে দাদপুর, টাউনশ্রীপুরসহ আশপাশের এলাকার মানুষের বাড়ী ও খামার থেকে ব্যাপকহারে পালিত কবুতর চুরি হচ্ছিল। সম্প্রতি টাউনশ্রীপুরের শামছুর রহমান নামের এক দোকানীর ঘেরের খামার থেকে একসাথে ৪২টি কবুতর চুরি হয়। এরপর একই গ্রামের বকুল সরদারের মুল্যবান আরো ৮টি কবুতর এবং আজিজপুরের হান্নানের ভাগ্নে রাকিব হোসেন শামীমের প্রায় ৮ হাজার টাকা মুল্যের সৌখিন দুই জোড়া কবুতর চুরি হয়। পর্যায়ক্রমে চুরি হয় দাদপুরের ফারুক হোসেন, তুহিন হোসেন, সাদেক, ওলিউল্লাহসহ বহু লোকের পালিত সৌখিন কবুতর।

একপর্যায়ের এলাকার মানুষ সম্মিলিতভাবে কবুতর চোর ধরতে সজাগ হয় এবং এলাকায় খোজখবর নিতে থাকে। একাধিক মাধ্যমে খবর পেয়ে বুধবার সকালে চুরি হওয়া কবুতরের মালিকরা একসাথে রাসেল আহমেদের বাড়ীতে হানা দেন। এসময় রাসেলের বাড়ীর পরিত্যাক্ত একটি রান্নাঘরের দরজা খুলে তাদের হারানো কবুতরসহ প্রায় আড়াইশ কবুতর দেখতে পান তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী জানান, শালিসে রাসেলকে তার বাবা জুতাপেটা করে। পরে স্ব স্ব চুরির বিষয়টি স্বীকার করে মালিকদের কাছে তাদের কবুতর ফেরত দিয়ে এবং হাতজোড় করে ক্ষমা চায় রাসেল। যেহেতু সে ৫ মাসের সাসপেন্ডে রয়েছে এবং কবুতর চুরি করার অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে সেহেতু তার বাবার অনুরোধে ও চাকুরী বাঁচানোর স্বার্থে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তাকে এযাত্রায় ক্ষমা করে ভালো হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *