Spread the love

এসভি ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারি থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বুধবার (১ জুলাই) পর্যন্ত পূর্ববর্তী গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৯৪ পুলিশ সদস্য এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত প্রায় ১১ হাজার।

বুধবার (১ জুলাই) পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯৫৮ পুলিশ সদস্য, যা একক পেশা হিসেবে সর্বোচ্চ। পুলিশ সদর দফতর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে শুরু থেকেই ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। যে কারণে দ্রুতই অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে মোট আক্রান্তের মধ্যে ছয় হাজার ৮৬৫ পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

পুলিশ সদর দফতর ও বিভিন্ন ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় পুলিশে মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ৯৫৮ সদস্য, যা মঙ্গলবার (৩০ জুন) ছিল ১০ হাজার ৭৬৪ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বেড়েছে ১৯৪ জন।

তবে মোট আক্রান্তের মধ্যে একক হিসেবে পুলিশের সব ইউনিটকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার পর্যন্ত ডিএমপিতে কর্মরতদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৩০৩ সদস্য। যা মঙ্গলবার ছিল দুই হাজার ২৮৪ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির আরো ১৯ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।

পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় ১১ হাজার ৮২৩ সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে এবং চার হাজার ৩১৫ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যদের অনেকেই জনগণের সেবায় আবারো কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থতার হার দ্রুত বাড়ছে।

সর্বশেষ বুধবার করোনা সংক্রমণ রোধে দায়িত্ব পালনকালে জীবন দিয়েছেন পুলিশের আরো এক সদস্য। তার নাম এএসআই মো. আবুল কালাম আজাদ (৩৫)। তিনি রাজশাহী জেলা পুলিশের কোর্ট শাখায় কর্মরত ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার দুপুর ১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ৪৩ গর্বিত সদস্য চলমান করোনা যুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জীবন উৎসর্গ করেছেন।

তিনি বলেন, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ড. বেনজীর আহমেদ বিরামহীনভাবে করোনা প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী দিকনির্দেশনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুস্থ করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *