Spread the love

এসভি ডেস্ক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারের দুনীতিবাজ ও মামলাবাজ ডাটাএন্ট্রি অপারেটর কামরুজ্জামান ওরফে টুটুল এর ষড়যন্ত্র ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মৃত ছলেমান সরদারের পুত্র কৃষক সিদ্দিক আলি।

মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিক আলি বলেন, জমিজমা বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে কামরুজ্জামান ওরফে টুটুল তাকে ও তার ছেলে সাংবাদিক সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে হয়রানি চালিয়ে আসছিল। এছাড়া সিদ্দিক আলির জমির ফসল ক্ষেতে প্রায় সময় আব্দুস সামাদের গরু প্রবেশ করে জমির ফসল ক্ষয়ক্ষতি করে। সম্প্রতি গত ০১/৫/২০২০ ইং তারিখে তাদের জমির ফসল ক্ষেতে আব্দুস সামাদের গরু প্রবেশ করে ফসল নষ্ট করতে থাকে।

এবিষয়ে সিদ্দিক আলি প্রতিবাদ করলে চিহ্নিত দুনীতিবাজ ও মামলাবাজ কামরুজ্জামান, তার পিতা আব্দুস সামাদ, এবং তালাকপ্রাপ্ত বোন বিউটি খাতুন তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। সিদ্দিক আলি স্থানীয়দের সহায়াতায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে। এ ঘটনায় সিদ্দিক আলি চলতি বছরে ৪ মে সাতক্ষীরা থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করে। এতে কামরুজ্জামান তাদের উপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তাদেরকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়।

ঘটনায় গত ৫ জুন তার ভাইপো শহিদুজ্জামান বাদি হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি জিডি করে। যার জিডি নং ২৩৪। কিন্তু ওই মহাদুনীতিগ্রস্থ মামলাবাজ কামরুজ্জামান একজন সরকারী কর্মচারী হয়ে সেটিকে পুজি করে তাদেরকে ও তার পুত্র সাংবাদিক সেলিম হোসেনকে জড়িয়ে একের পর এক জঘন্যে মিথ্যাচারা প্রচারণা ও হয়রানি মুলক ঘড়যন্ত্র করে যাচ্ছে কামরুজ্জামান।

এছাড়া তাদেরসহ অন্যন্যাদেরকে নানাভাবে হয়রানি, খুন, জখম ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এমনকি কামরুজ্জামান তার অফিসের কর্তৃপক্ষর অনুমতি না নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদবীর তাগেদা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কামরুজ্জমান নাকি তাদের ভয়ে শহরে বাসাভাড়া থাকেন। অথচ প্রকৃতপক্ষে কামরুজ্জামান চাকুরী পাওয়ার পর অনিয়ম, দুনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং লক্ষ লক্ষ অবৈধ টাকা উপার্জন শুরু করে। যে কারণে কামরুজ্জামান শহরের নামিদামী বাড়িতে প্রায় ১৫ বছর ধরে বাসাভাড়া বাড়িতে থাকেন।

সম্মেলনে সিদ্দিক আলি আরও বলেন, কামরুজ্জমান নিজের জেলার সদরে রিসোর্স সেন্টারের তার কর্মস্থলে থেকে দীর্ঘদিন সে দুনীতি ও অনিয়ম করে যাচ্ছে অভিযোগ রয়েছে। সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের বিভিন্ন দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কামরুজ্জামানের নামে ২ বার বদলীর আদেশ আসে।

প্রথমবার বদলী আদেশে তালা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের যোগদান করে। পরে তদবিরে আবারও কামরুজ্জামান সদরে তার কর্মস্থলে যোগদান করে। দ্বিতীয় বার আবারও কামরুজ্জামানের নামে বদলীর আদেশ আসে। কিন্তু তদবিরে তার নিজের জেলার সদরে সে বহাল থেকে যায় অভিযোগ রয়েছে। কামরুজ্জামান নিজের জেলা সদরে তার কর্মস্থলে দীর্ঘদিন বহাল থাকায় সে অফিস ফাঁকি দিয়ে বহু সাধারণ মানুষের নামে বিনাকারনে থানা আদালতে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেছে অভিযোগ রয়েছে। তার অফিসের দুনীতি,অনিয়ম ও বহু সাধারণ মানুষের হয়রানি করে টাকার পাহাড় বানিয়েছে।

ইতিমধ্যে কামরুজ্জামান নাকি জমি ক্রয়ের জন্য বায়নাপত্র হিসেবে শহরের রসুলপুরের জনৈক মোস্তাফিজুর রহমান ব্যক্তির কাছে ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রদান এবং লিয়াকত আলির কাছে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার নিজের বাড়িতে লাখ লাখ টাকার ব্যয়ে বিলাস বহুল বাড়ি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। কামরুজ্জামানের পিতা আব্দুস সামাদ বহু বিবাহের নায়ক। তার পুত্র কামরুজ্জামানেরও বহু বিবাহের নায়ক। কামরুজ্জামানের দুই বিবাহ তালাকপ্রাপ্ত। তার বোন বিউটি খাতুনেরও বহু বিবাহের নায়ক। বর্তমানে সব কয়টি তালাকপ্রাপ্ত। বিউটি খাতুন তার পিতার বাড়িতে থাকে। সে বিনাকারণে মানুষের সাথে ঝগড়া করে এবং ষড়যন্ত্র ফাঁদে ফেলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা ফাঁসিয়ে দিয়ে হয়রানি করে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কামরুজ্জমানের ও তার বোনের ষড়যন্ত্র হয়রানির হাত থেকে বিউটির আপন মেয়ের জামাইও রক্ষা পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কামরুজ্জামান তার সৎ ভাই (বিমাতা ভাই) তোহিদকে ফাঁকি দিয়ে পিতার কাছ থেকে জোরপূর্বক সম্পতি লিখে নিয়েছে কামরুজ্জামান। অথচ তার ওই সৎ ভাই তোহিদের সম্পতি না দেওয়ায় তোহিদ ও তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাসাভাড়া বাড়িতে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কামরুজ্জামান একজন হিংস্র প্রকৃতির, পরসম্পদ লোভী, দুনীতি ও মামলাবাজ, অর্থলোভী, শান্তি শৃংঙ্খলা বিনষ্টকারী, ষড়যন্ত্রকারী, তার অত্যাচারে ও ষড়যন্ত্র ভয়ে মানুষ একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারে না। তার ষড়যন্ত্র ও মামলাবাজের ভয়ে মানুষ আতঙ্ক থাকে অভিযোগ রয়েছে। সে কোনো আইন কানুন ও গন্যমান্যদের শালিস বৈঠক মানে না। তাদেরকে হয়রানি করতেও মিথ্যা মামলা দায়ের সহ ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিয়ায় খুন, জখমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের দ্বারা সিদ্দিক আলি ও তার পরিবারসহ অন্যন্যারা জানমালের ও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি আংশকা করিতেছে। সিদ্দিক আলি ও তার পরিবারসহ অন্যন্যারা এই দুনীতি ও মামলাবাজ কামরুজ্জামানের ষড়যন্ত্র ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যামে দুনীতিদমন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমার ভাইপো সাইফুল ইসলাম, আমার পুত্র সোহেল রানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *