Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: যৌতুকের দাবিতে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নের দাসপাড়া এলাকায় এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

গৃহবধূর নাম মেহেনাজ পারভীন(১৯)। তিনি ভোমরা দাসপাড়া এলাকার রিপন হোসেনের স্ত্রী ও দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মুকুল হোসেনের মেয়ে।

ওই গৃহবধুর ভাই সুমন হোসেন জানান, তিন মাস আগে মেহেনাজের সঙ্গে রিপনের বিয়ে হয়। সম্প্রতি ভোমরা দাসপাড়ায় ঘরসহ জমি কিনে বসবাস করতে শুরু করেন তারা। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মেহেনাজকে নির্যাতন করতেন রিপনসহ পরিবারের সদস্যরা।

সুমন আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বোনের শ্বশুর মোবাইল ফোনে আমাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যেতে বলে। রাত ১০টার দিকে সদর হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মেহেনাজ মারা গেছে বলে খবর পাই। রাত ১১টার দিকে বোনের লাশ লক্ষীদাড়িতে এনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে প্রচার দিয়ে লাশ দাফনের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের একটি ঘরে আটকে রাখে। মেহেনাজের নাক, কান ও মুখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল।

তবে ওই গৃহবধূর স্বামী রিপন হোসেন জানান, তার স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা গেছেন।

সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, “ওই গৃহবধূ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রচার চালিয়ে দাফনের চেষ্টা করা হয়। গৃহধূর নাক, কান ও মুখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ার চিহ্ন রয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ গৃহবধূর স্বামী রিপনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহউদ্দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *