দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটায় জোরপূর্বক জমি দখলে নিতে হযরত আলী (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ দুই চাচা সাজেদুল করিম এবং আক্তার হোসেন।
মারপিটে জখম হযরত আলী উপজেলার বহেরা উত্তর ইটভাটা এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে।
বৃহষ্পতিবার বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে হযরত আলীর বাড়ী সংলঘ্ন জমিতে ঢুকে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে তারা। বর্তমানে আহত হযরত আলী সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘটনায় শুক্রবার আহতের ভাই ইয়াছিন আলী বাদী হয়ে অভিযুক্ত দুই চাচা সাজেদুল করিম ও আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় এজাহার দায়ের করেন।
দায়েরকৃত এজাহার ও আহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হযরত আলীর পরিবার তাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বহেরা মৌজার জেএল-২৫, ১২০৮ নং খতিয়ানের হাল ৫৫২৩ দাগের তিন শতক জমিতে আমবাগান ও টিনের একটি ঘর করে ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু ভোগদখলীয় ওই জমির ওপর কু-নজর পড়ে তার আপন দুই চাচা সাজেদুল করিম ও আক্তার হোসেনের। বিগত কয়েক বছর ধরে তারা হযরত আলীর ভোগদখলীয় ওই জমিটি জবর দখলে নিতে ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বেই দেবহাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন হযরত আলীর মা ফিরোজা খাতুন। যার নং- ৫৫০, তাং- ১৯/০৫/১৬ ইং। থানায় ডায়েরীর পর থেকে কিছুদিন জবরদখল প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকে দুই চাচা সাজেদুল করিম ও আক্তার হোসেন।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঝুঁকি এড়ানোর জন্য সরকারী ভাবে মসজিদে গণজমায়েত করে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে আবারো নতুনভাবে জমি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তারা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হযরত আলীর ভোগদখলীয় ওই পৈত্রিক জমিটিতে গণজমায়েত করে তারাবীহের নামাজ পড়ানোর অজুহাত দিয়ে বৃহষ্পতিবার বিকালে হযরত আলীর বিনা অনুমতিতে লোকজন নিয়ে জমি জবর দখলের উদ্দেশ্যে ভাঙচুর করতে থাকে দুই চাচা সাজেদুল করিম ও আক্তার হোসেন।
এসময় বাধা দিতে গেলে জমির মালিক হযরত আলীকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে তারা। একপর্যায়ে হযরত আলীকে বাঁচাতে তার মা ফিরোজা খাতুন ছুটে গেলে তাকেও মারপিট করে তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হযরত আলীকে উদ্ধার করে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, মারপিটের ঘটনায় আহতের ভাই বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি।