Spread the love

এসভি ডেস্ক: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মামলার আসামি রফিজ উদ্দিনের (অপু) লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের শালিয়াবহ নয়াপাড়া গ্রামে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে ঘাটাইল থানা পুলিশ।  তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

রফিজ উদ্দিন অপু ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের শালিয়াবহ নয়াপাড়া গ্রামের মৃত হোসেন আলীর (চাটু মিয়ার) ছেলে।

এলাকাবাসীর জানায়, ধর্ষক রহিজ উদ্দিন (অপু) গত (৯ ফেব্রুয়ারি) শালিয়াবহ চৌরাস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী আকলিমা আক্তার পাশের বনে পাতা কুড়াতে গেলে রফিজ উদ্দিন তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ঘাটাইল আকলিমার বাবা বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি ঘাটাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করেন।

পরে বিকেলে ওই ছাত্রী টাঙ্গাইল আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শালিয়াবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অপুকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনার পর থেকেই অপু আত্মগোপনে চলে যায়। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ খুঁজতে থাকে।

পুলিশ যাকে গ্রেফতার করতে হন্য হয়ে খুঁজছে ঠিক সে সময়ে তার বাড়ির পাশে একটি আম গাছের ডালের সাথে মাটিতে পা ঠেকানো অপুর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এতে জনেমনে প্রশ্ন, পুলিশ যাকে আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ঠিক সে সময়ে তার লাশ বাড়ির পাশে পাওয়া যায়। আসলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন চলছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কুদরত আলী জানান, আজ রবিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে সরকারি বনের আকাশমনি বাগানে একটি আম গাছের ডালে রফিজ উদ্দিনকে গলায় মাফলার প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেখতে পাই। পরে ঘাটাইল থানা পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

ঘাটাইল থানা পুলিশের এসআই মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লোকলজ্জার ভয়ে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না বলে রফিজ উদ্দিন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *