মিজানুর রহমান: কলারোয়া পৌরসভাসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আবারও শুরু হয়েছে বড় বড় চাকা বিশিষ্ট যন্ত্রদানব ট্রাক্টর(ড্রাম) এর তান্ডব। মাটি বহনের জন্য প্রতিনিয়ত ভাটা মালিকেরা এবং বিভিন্ন পুকুর ও ডোবা ভরাটের জন্য এই ট্রাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে।
কলারোয়া পৌরসভার মির্জাপুর এলাকার কলাগাছী মোড়ে যেয়ে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে ১০/ ১৫ টি যন্ত্রদানব ট্রাক্টর। ওই ট্রাক্টর রাস্তা দিয়ে চলাচল করার সময় আতঙ্কে রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে পথচারীরা। সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত দানব ট্রাক্টরচলাচলের সব সময় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে ওইএলাকার বাসিন্দাসহ পথচারীদের।
স্থানীয়রা জানান, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু ল্যাবরেটরি স্কুল, শ্রীপতিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানরাইজ প্রি ক্যাডেট স্কুল, কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল, কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল, বেত্রবতী হাইস্কুল, মডেল হাইস্কুল, আলিয়া মাদরাসা, আলাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝুঁকি নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদের পাঠিয়ে অজানা বিপদের চিন্তায় থাকতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
এছাড়া প্রতিনিয়ত ওই গাড়ী চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা, লাভবান হচ্ছে ট্রাক্টর মালিক ও ভাটার মালিকেরা আর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনসাধারণের।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ট্রাক্টর মালিকদের নিষেধ করলেও তারা কোনরূপ কর্ণপাত না করে বরং নিষেধকারীদের মারমুখী হচ্ছে। কোনভাবেই থামছেনা তাদের দৌরাত্ম। এত শক্তি তারা কোথায় পাচ্ছে সেটা আমাদের জানা নেই।
কলারোয়া পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে ট্রাক্টর চালক-মালিকদের বারবার নিষেধ করলেও তারা আমাদের কথায় কোনরূপ কর্ণপাত করেন না। আমরা নিষেধ করলেও সাময়িকভাবে বন্ধ রেখে কোন এক অজানা শক্তির বলে আবারও তারা ট্রাক্টর(মাটির ড্রাম) চালাতে শুরু করেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনীর উল গীয়াস বলেন, অবৈধ যানবাহন চলাচলের কোন সুযোগ নেই। কলারোয়ায় অবৈধ ট্রাক্টর চলছে এমন খবর আমার জানা নেই। যদি চলে তবে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।