Spread the love

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ তাঁতীলীগের সাবেক সম্পাদক ও রাসেল স্মৃতি সূর্য তরুণ যুব সংঘের সভাপতিসহ সদস্যের উপর হামলা এবং অফিস ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে রাসেল স্মৃতি সূর্য তরুণ যুব সংঘের সভাপতি হাবিবুর রহমান আশাশুনি থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

লিখিত এজাহার সূত্রে জানাগেছে, শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামের মৃত আমিনুদ্দীন সরদারের ছেলে শাহিনুর সরদার ও রেজাউল করীম, তার ছেলে জাহিদ সরদার, ফজর আলী সরদারের ছেলে মিনাজ সরদার, কেরামত আলী সরদারের ছেলে আহসান সরদার, মৃত জহুরুল সরদারের ছেলে ফজলু সরদার, মৃত খালেক গাজীর ছেলে উজির আলী সরদার, উজির আলী গাজীর ছেলে রনি গাজী, কামরুল সরদারের ছেলে জাকির হোসেন, সিরাজুল ইসলামের ছেলে আরিফ হোসেন, মৃত নিজামুদ্দীনের ছেলে শহিদুল সরদার, মৃত মঈনুর গাজীর ছেলে বাদশা হোসেন এবং শ্রীউলা গ্রামের সোহরাব গাজীর ছেলে নুর মোহাম্মদ গাজী সংগবদ্ধ হয়ে ২৩ডিসেম্বর সকালে সামাদ সরদারের বাড়ীর সামনের রাস্তায় হাবিবুর রহমানের পথ অবরুদ্ধ করে দলীয় শুত্রুতার জের ধরে গালিগালাজসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে ঐদিন সকাল বেলা আনুঃ ১১টার দিকে হাবিবুর রহমানসহ একই এলাকার আ’লীগ নেতা ইমদাদুল গাজী, ইসরাফিল হোসেন, কহিনুর গাজী মহিবুল্লাহ একত্রে রাসেল স্মৃতি সূর্য তরুণ যুব সংঘে বসে দলীয় আলোচনা করা কালে হঠাৎ তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় জামাত বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এসময় আ’লীগ নেতা ইমদাদুল গাজী, ইসমাইল হোসেন, কহিনুর গাজী ও মহিবুল্লাহ মারাত্বক ভাবে আহত হয়। এছাড়া জামাত বিএনপির নেতৃবৃন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসের আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, রুহুল হক এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের পোস্টার ছিড়ে ফেলে এবং অফিস কক্ষের ২১ ইঞ্চি কালার টেলিভিশন, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে। হামলা চালানো পর ক্লাবের দলীয় সাইনবোর্ডটি নিয়ে চলে যায় জামাত বিএনপি নেতাকর্মীরা। আহতদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে।

এমতাবস্থায় জামাত বিএনপি’র নেতাকর্মীদের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে আইন প্রয়োগ সংস্থার আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *