Spread the love

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটিতে আসতে পারেনি। যার কারণে উপজেলার সর্বত্র চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃনমূল আওয়ামী নেতাকর্মীদের মধ্যে। ২০০৯সালে তিনি প্রথম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন পরবর্তী ২০১৪ সালে নির্বাচনে ঋণ খেলাপির কারণে নির্বাচন কমিশন তাকে অযোগ্য ঘোষণা করলেও জনগণ তাকে ভোট দিতে ভুল করেনি। বিজয়ী প্রার্থীর চেয়েও কয়েক হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন তিনি।

২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবং আওয়ামী কাউন্সিলে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রিয় নেতা হিসেবে আস্থা অর্জন করেন। দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবিতে ২০১৮ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে পিছিয়ে আসেন কিন্তু তার রাজনৈতিক ভক্ত-অনুসারীরা তাকে বাধ্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, কালিগঞ্জ বিষয়টি একটু ব্যাতিক্রম। আমি নিজ ইচ্ছায় নির্বাচন করিনি। তৃণমূল মুলের মতামত, মনোনয়ন ঘিরে সংখ্যা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেশত্যাগের প্রবণতা থেকে ফিরাতে,সর্বপরি কেন্দ্রীয় ভাবে সঠিক দিকনির্দেশনা পা পাওয়া, ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাষ্টার নরিম আলী মুনসী সাহেব এর মাধ্যমে এবং মনোনীত প্রার্থী নিজেই আমার সফল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে উইনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগপত্র প্রদানে প্রোরোচিত করেন। যাহা তৃণমূল পর্যায়ে সকল নেতারাই জানতেন।

এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে,, মুক্তিযুদ্ধা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তৃনমুল পর্যায়ের ১০৮ টি ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতারা উপস্থিত হয়ে স্ব-স্ব উদ্যোগে আমার মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন।

সর্বপরি মাননীয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত দায়িত্বশীল একাধিক শ্রদ্ধেয় নেতাদের সাথে উপরে উল্লেখিত বিষয়ে আলোচনা পরামর্শ চাইলে তারা আমাদের সঙ্গে বলেন যেহেতু বিরোধী দলের কোন প্রার্থী নেই সেহেতু নির্বাচনে যেই জয়ী হবে আমরা তাকে স্বাগত জানিয়ে বরন করে নেব।

যে কারনে সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আপরাধ স্বীকার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট ক্ষমা চায়। আমার তৃনমূলের ৯০ ভাগ নেতাকর্মী অপরাধী, কারন ১০ ভাগের কম ভোট পান নৌকার প্রার্থী। আমি আপনার মাধ্যমে সকল কে ক্ষমা সুন্দর ভাবে দেখার অনুরোধ করছি। শুধু তাই ২০১৪ তৃনমূল কে উপেক্ষা করে জেলার নেতাদের অনুরোধ উপেক্ষা করেনি ( ২০১৪ চেয়ারম্যান মনোনয়ন চাওয়া অপরাধ কেন চাইলো মনোনয়ন আমসর শিশু পুত্র অনীক এবং ভাগ্নে আবীদ কে ব্যপরোয়া মারপিট করা হল) তবুও দলের পক্ষে কাজ করা।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারী হাইব্রিড মুক্ত ২০০৭ এর পুর্বে আওয়ামী লীগ এর দুর্দিনে যারা পরিক্ষীত ত্যাগী অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটি গঠন না হওয়ার কারনে পদ পদবি বঞ্চিত পরিক্ষীত নেতাদের কাউন্সিলার নিয়োগ দিয়ে মাননীয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর নিকট আবেদন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া তাদের তদন্তের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উত্তম।

২০১৫ সালের পরে দল সরকারের এবং দলের সভা নেত্রীর অর্জন তুলে ধরতে হাজার হাজার উঠন বৈঠক করে দলের তৃনমুল এর আস্তার অর্জনের ব্রতী হওয়ার কারনে সাঈদ মেহেদীরা বলির পাঠা।

কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তার প্রচেষ্টায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সরকারের সফলতা জনগণের মাঝে তুলে ধরতে হাজার হাজার উঠোন বৈঠক করা হয়েছে। তিনি স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন জননেতা হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে আস্থা অর্জন করেছেন। এলাকাবাসীর দাবি করেন, আগামী কাউন্সিলে সাঈদ মেহেদী কে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে দলকে সুরক্ষা করা হবে।

ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়েছে কালিগঞ্জ উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *