Spread the love

এসভি ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, ‘৫ বছর বয়সী শিশু তুহিনকে কেন মারা হয়েছে, কীভাবে মারা হয়েছে, কয়জনে মেরেছে পুরো ঘটনা জানা গেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলবো না।’

ঘটনার পর পর তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে যাওয়া ৬ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে পুলিশ রেকর্ড দিয়েই আসামিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

শিশুটির পিতা একটি হত্যা মামলার আসামীসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে, তাই পারিবারিক সম্পৃক্তায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে এই ঘটনাটি গঠতে পারে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তর্দন্ত শেষ করি তদর্ন্তে প্রমানিত হলে আটক না হলে কাউকে হয়রানী করা হবে না বলে জানান পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ হত্যাকান্ডটি পূর্বশত্রুতার জের যাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যেই তিন-চারজন জড়িত আছেন বলে তিনি জানান। তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই খুন করা হয় পাঁচ বছর বয়সী তুহিন মিয়াকে।

এঘটনায় তুহিনের বাবাসহ ৬-৭জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির,চাচা আব্দুল মুছাব্বির,ইয়াছির উদ্দিন,প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম,চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

জানাযায়, রোববার মধ্যরাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। সোমবার ভোরে নিহত শিশু গাছে ঝুলে ছিল আছে শিশুর তুহিনের লাশ। পেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল দুটি ছুরি। ডান হাতটি গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢুকানো আছে। বাম হাতটি ঝুলে আছে লাশের সঙ্গে। কেটে নেওয়া হয়েছে শিশুটির কান ও লিঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে আছে রক্তে। এমন একটি নৃশংস ভাবে তুহিনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার মরদেহ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে যায়। খবর পেয়ে সকাল ১০টায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তুহিন হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিতে দুই ব্যক্তির নাম লেখা ছালাতুল ও সোলেমান সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।

নিহত তুহিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে। রোববার রাত ৩টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এমন নৃশংস হত্যাকান্ড দিরাই উপজেলার মানুষ এর আগে দেখেনি। তদন্ত করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *