এসভি ডেস্ক: অচেতন করে বড় ভাইয়ের বাড়িতে আটকে রেখে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)
গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম লিটন। সে ফিংড়ি ইউনিয়নের হাকিম মালীর ছেলে।
এদিকে ছেলেকে গ্রেপ্তারের পর বাবাকে হাকিম মালীকেও ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ সে সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ সকাল সাড়ে আট টায় ফিংড়ি থেকে শিমুলবাড়িয়া গ্রামে নানীর বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিলো (১৪) এক কিশোরী। পথিমধ্যে কিশোরীর পুর্বপরিচিত লিটন (২১) তাকে স্পিড খেতে দেয়। স্পিড এনার্জি ড্রিঙ্ক খেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে কিশোরী অচেতন হয়ে পড়ে।
অচেতন অবস্থায় কিশোরীকে বাইসাইকেলে তুলে লম্পট লিটন আলিপুরের পাচানী গ্রামে তার বড় ভাইয়ের বাড়ি নিয়ে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এদিকে কিশোরীর নানা গন্তব্যেস্থলে নাতনীকে না পেয়ে বিভিন্ন জাগায় খোজাখুজির এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় পাঁচানি গ্রামে আসামির বড় ভাই ফলজুর বাড়ি থেকে নাতনীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে কিশোরীর নানা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও লোকাল গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোন রকম সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ধর্ষিতার নানা বাদী হয়ে সোমবার ৭ অক্টোবর সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশ সুপারের কানে যাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন আসামি আটকের। পরে মামলা রুজুর ১ ঘন্টার মধ্যে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর পিপিএম (বার)এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন টিম সদর উপজেলার ফিংড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে রাত ১০ টার দিকে ধর্ষক লিটনকে আটক করতে সক্ষম হয়। একই সাথে ডিবি পুলিশ ধর্ষক লিটনের বাড়িতে অভিযান চালিয় লিটনের বাবা আব্দুল হাকিম মালীকে ১০০ গাঁজাসহ আটক করে।
সাতক্ষীরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।