Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধি: হতদরিদ্রের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পে সাতক্ষীরা সদরের ধূলিহর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের উর্দ্ধতন একজনকে নিজের আপন ভাই পরিচয় দিয়ে কোন নিয়মনীতি না মেনে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের নিজের উচ্ছামতো ব্যবহার করছেন তিনি। তা ছাড়া ওই ওয়ার্ডে ৫৬ জন কাজ করার তথা থাকলেও মেম্বর আনিছুর রহমান কাজ করাচ্ছেন ৪৭ জনকে।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ধূলিহর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বেড়বাড়ি এলাকায় কাজ করছে ২৭ জন, ও ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বপাশের মসজিদের পাশে কাজ করছে ২ জন। তাছাড়া দক্ষিণ পাড়ায় কাজ করছে ১১ জন ও অন্য আর এক জায়গায় ৭ জন কাজ করছে বলে জানায় ওই কাজের লোকদের সর্দার মোস্তাফিজুর রহমান।

বাকি লোক কোথায় কাজ করছে জানতে চাইলে সর্দার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আর লোক আসেনা। পরিষদের চৌকিদার, মেম্বর, ইউপি সচিব, চেয়ারম্যান ও পি আই ও অফিসের জন্য ওই লোকগুলো অফ আছে। আমরা মেম্বরের কথামতো কাজ করছি।

এদিকে আরো জানা যায়,কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে মাটির রাস্তা সংস্কার, ইট বা পিচের রাস্তার দুই ধারে মাটি দেয়ার কাজ করাতে হয় কিন্তু মেম্বর প্রকল্পের বাইরে ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়ার ইটের রাস্তার হতে ইট দিয়ে নতুন রাস্তা করার জন্য ইট সরানোর কাজে ব্যবহার করছে ওই শ্রমিকদের। অথচ ওই কাজ টি আর প্রকল্পের মাধ্যমে করার কথা।

তবে ইউপি মেম্বর আনিছুর রহমান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ওয়ার্ডে কোন অনিয়ম হচ্ছে না। তালিকায় যে কয়জন লোক আছে সেই কয়জন লোকই কাজ করছে।

এ ব্যাপারে ধূলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ইটের রাস্তা হতে ইট সরানোর কাজে কর্মসূচীর লোকদের ব্যবহারের কোন নিয়ম নেই। তাছাড়া ওই ইটের রাস্তায় কাজ করানো হবে এমন কোন প্রকল্প দেওয়া নেই। এ ছাড়া আসলে কতজন লোক কাজ করছে সেটা আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

সতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইয়ারুল ইসলাম বলেন, কর্মসূচীর কাজে কোন প্রকার অনিয়মের সুযোগ নেই। কোন অনিয়ম হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।