হাফিজুর রহমান: গত ১৩ ই মে ২০১৯ ইং তারিখে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর চেকপোস্ট সংলগ্ন আব্দুর রউফ চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে ভোমরা স্থলবন্দরের লেবার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ এরশাদ আলী এবং শহরের ইটাগাছা এলাকার জুয়েল ও আরিজুলের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি সংঘটিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় এরশাদ আলী বাদি হয়ে ৫জনকে আসামী করে আরও ৬/৭ জন অজ্ঞাতনামাসহ সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ২৬। উক্ত মামলায় ভোমরা স্থল বন্দরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং ভোমরা স্থল বন্দর লেবার শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোঃ আনারুল ইসলামের পুত্র মোঃ ফিরোজ হোসেনকে ৩ নং আসামী করে মারামারির হুকুমদাতা হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু মোঃ ফিরোজ হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, আমার পিতা মোঃ আনারুল ইসলাম এরশাদ আলীর সাথে লেবার শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ ১১৫৯) প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হিসেবে ভোট করেন এবং ভোটে কারচুপি করার কারনে আমার বাবা হাই কোর্টে মামলা করে যে মামলা এখনো চলমান। উক্ত ভোটে আমার পিতা প্রতিদ্বন্দীতা করার কারনে দীর্ঘদিন ধরে এরশাদ আলী বিভিন্ন সময়ে আমার পিতা ও আমাকে ক্ষমতার জোর দেখিয়ে এবং মামলার ভয় দেখিয়ে আসছিলেন। হঠাৎ এই মারামারির ঘটনা ঘটায় পূর্বে আমার পিতা নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দীতা করার কারনে আমাকে ব্যবসায়িক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই মামলায় আমাকে হুকুমদাতা হিসেবে ৩ নং আসামী করা হয়েছে।
তাছাড়া আমি সরকারকে ন্যায্য রাজস্ব দিয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানী-রপ্তানি ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা সুনামের সহিত পরিচালনা করে আসছি দীর্ঘদিন যাবৎ এবং আমি আগামীতে ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছি। এই ঘোষনার পর থেকেই কিছু কুচক্রি মহল একজোট হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিক থেকে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলো। এসবের জের হিসেবে আমাকে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। আদৌ আমি এই মারামারি সম্পর্কে কিছুই জানিনা বা এই মামলার আসমীদের আমি চিনিওনা। ঘটনার সময় আমি ভোমরা পোর্টে আমার ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে, এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া হোক।