Spread the love

এসভি ডেস্ক: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। শনিবার (৬ অক্টোবর) বেলা ৩টা ১৮ মিনিটে কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাড়িবহরে উঠানো হয় খালেদা জিয়াকে। তাকে বহন করা গাড়িবহর হাসপাতালে এসে পৌঁছায় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে। পরে হুইল চেয়ারে করে তাকে কেবিনে নেয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য কেবিন ব্লকের ৬১২ নম্বর কক্ষ বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া পাশের একটি কেবিন খালেদার নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে আনা হবে এমন খবরে সকাল থেকে প্রস্তুতি নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ভবনের বাইরে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য হুইল চেয়ার নিয়ে অপেক্ষমান ছিলেন হাসপাতালের কর্মচারীরা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে পুরো এলাকায়। রোগীর আত্মীয় স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।

এ সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, আবু নাসের রহমত উল্লাহ, চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

এর আগে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গত ১৫ সেপ্টেম্বর কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুনের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বর্তমান স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি বিবেচনায় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার মত দেয়।

গত বৃহস্পতিবার বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ তাকে দ্রুত বিএসএমএমইউ ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে সরকারের গঠিত মেডিকেল বোর্ড পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। যাতে খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী তিনজন ডাক্তার রাখতে বলা হয়েছে। এমনকি খালেদা জিয়া চাইলে বাইরে থেকেও ডাক্তার আনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আদালত। তবে তা বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের দণ্ড দেন আদালত। সেই থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।