এসভি ডেস্ক: এশিয়া কাপের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে পারেনি টাইগাররা। তবু সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ে ভালো খেলার বিকল্প ছিলনা কোনো। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে আফগানরা তাদের শক্তি ও পেশাদারিত্বের পুরোটাই উজাড় করে দিয়েছে। অপরদিকে হতাশায় পুড়েছে বাংলাদেশ শিবির। আফগানদের ২৫৫ রানের জবাবে ১১৯ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি ব্যাটিংয়ে। সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ২৭ রান এসেছে মাহমুদুল্লাহ’র ব্যাট থেকে। আফগানিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান, নাইব ও মুজিব উর রহমান।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। লিটন, নাজমুল হোসেন সাজঘরে ফেরেন দলীয় ১৭ রানের মাথায়। এরপর ৪৩ রানের মধ্যে মুমিনুল ও মিথুন আলিও বিদায় নেন অল্প রানে। সাকিব-মাহমুদুল্লাহ কিছুটা প্রতিরোধের আশা জাগান। সাকিব ৩২ রানে সাজঘরে ফিরলে সে সম্ভাবনাও ফিকে হয়ে আসে। এরপর অন্যরা দ্রুতই ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। মোসাদ্দেক একপ্রান্তে ২৬ রানে অপরাজিত থাকলেও বাংলাদেশ অলআউট হয় ১১৯ রানে।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৫৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৫৮ করেন হাশমত শাহিদি। ৩২ বলে অপরাজিত ৫৭ রান করেন রশিদ খান। এছাড়া ৪২ রান আসে গুলবাদিন নাইবের ব্যাট থেকে । বাংলাদেশের পক্ষে ৪২ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন সাকিব।
আবুধাবি স্টেডিয়ামে, টসে জেতা আফগানরা এদিন শুরুতেই বিপদে পড়ে আবু হায়দার রনির বলে। একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই রনির অসাধারণ বোলিংয়ে সাজঘরে ফেরেন ইহসানউল্লাহ ও রহমত শাহহ। দলীয় ২৮ রানে দুই ব্যাটসম্যানকে আউট করেন এই পেসার। এরপর ৫১ রানের জুটি গড়েন শেহজাদ ও শাহিদি। ৩৭ রান করা শেহজাদকে সাকিব ফিরিয়ে দেন দলীয় ৭৯ রানে। এরপর অধিনায়ক আসগরকেও মাত্র ৮ রানে বোল্ড করেন সাকিব।
এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে একপর্যায়ে ১৬০ রানে ৭ উইকেট হারায় আফগানরা। সাকিব তুলে নেন ৪ উইকেট। কিন্তু এরপর গুলবাদিন নাইব ও রশিদ খান দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটিতে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় আফগানিস্তান।
শাহিদি ৫৮, শেহজাদ ৩৭
সাকিব ৪/৪২, রনি ২/৫০
বাংলাদেশ: ১১৯ (৪২.১ ওভারে)
সাকিব ৩২, মাহমুদুল্লাহ ২৭
রশিদ ২/১৩, মুজিব ২/২২
দুই দলের স্কোয়াড:
বাংলাদেশ: লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসন, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার রনি।
আফগানিস্তান: মোহাম্মাদ শেহজাদ, ইহসানউল্লাহ, রহমত শাহ, হাশমত শাহিদি, গুলবাদিন নায়িব, আসগর আফগান (অধিনায়ক), মোহাম্মাদ নবী, নাজিবুল্লাহ জাদরান, রশিদ খান, আফতাব আলম, মুজিব উর রহমান।