নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার পরে আত্মহত্যা করেছে ঝর্ণা খাতুন নামের এক মহিলা। শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঝর্ণা খাতুন ওই গ্রামের আজহারুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী।
কলারোয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগীপরিবারের বরাত দিয়ে জানান,আজহারুল ইসলামের দুই স্ত্রী। সতীন নিয়ে আজহারুল ইসলামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল ঝর্ণা খাতুনের।
এদিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, শনিবার রাতে আজহারুল ইসলামকে কৌশলে ভাতের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় ঝর্ণা খাতুন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর তার পুরুষাঙ্গ কেটে নেয় সে। এক পর্যায়ে ঝর্ণা খাতুন নিজেও ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।ভোররাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাদেরকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তাদের অবস্থা অবনতি হলে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মানস কুমার মন্ডল জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই ঝর্না খাতুন মারা গেছে।আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।