Spread the love

প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে তার সাথে দেখা করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাগনলতা গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালামের ছেলে রাকিব হোসেন।

গত ১৩ এপ্রিল রাতে দেবহাটার সাংবাড়িয়া গাজীর হাট গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন যুবক রাকিব হোসেন বলেন, ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে টেক্সটাইলস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আমি কর্মরত। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসি। দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলীর কন্যার সাথে ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু চাকুরির সুবাধে দীর্ঘদিন দেখা হয়নি। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে প্রেমিকা বাড়ি যেতে বলে। প্রেমিকার কথামত সেখানে গিয়েই বাধে বিপত্তি। প্রেমিকার বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলীর নেতৃত্বে তার ছোট ভাই আবেদুর রহমান, চাচা নাঈমুর রহমান দুর্জয় নিমর্ম নির্যাতন চালিয়ে অচেতন অবস্থায় আমাকে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে পাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে নলতা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগীর বাবা আবুল কালাম বলেন, মেয়েকে দিয়ে ডেকে চেয়ারম্যান ও তার ভায়েরা আমার ছেলের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে। তারা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে মারপিট করে মরা ভেবে বাড়ির বাইরে ফেলে রাখে। আমার ছেলের উপর নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এ ব্যাপারে আমি পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলীর ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

দেবহাটা থানার ওসি মোমিনুর রহমান বলেন, ছেলেটির বাবা এসেছিলেন আমি তাকে অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *