এসভি ডেস্ক: নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই আজ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। চোটে পড়ায় গৌহাটির প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলছেন না তিনি। সেই ম্যাচে শুরুতে বোলিং খারাপ করলেও পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে ২৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে লঙ্কানরা।
জবাবে তানজিদ তামিম-লিটন দাস-মেহেদী মিরাজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হেসেখেলে লঙ্কানদের হারায় টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৬৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় মিরাজের দল।
জবাবে তানজিদ তামিম ও লিটনের জুটিতে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। দুজনেই পেয়েছে অর্ধশতকের দেখা। লিটন পেয়েছেন ৩৯ বলে ও তানজিদ তামিম পেয়েছেন ৫৩ বলে। ২১তম ওভারে লিটনের বিদায়ে ভেঙেছে তানজিদের সঙ্গে ১৩১ রানের জুটি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শতকের পথেই ছিলেন তানজিদ। তবে কুমারার বলে ক্যাচ দিয়ে ৮৪ রানেই আউট হন তিনি। এরপর কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরেছেন হৃদয়। পরে মিরাজ ৬৪ বলে ৭৬ ও মুশফিক ৪৩ বলে ৩৫ রান করে জয়ের লক্ষে পৌঁছে যান।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে দুই ওপেনারে উড়ন্ত সূচনা পায় শ্রীলঙ্কা। যদিও খানিক পরেই কাঁধে অস্বস্তি বোধ করায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন কুশল পেরেরা। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৩৪ রান। এরপর নিশাঙ্কাকে সঙ্গ দিতে আসেন কুশল মেন্ডিস। দুজনের ব্যাটে শতরান পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা। তবে দলীয় ১০৪ রানে মেন্ডিসকে(২২) ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নাসুম আহমেদ। পরের ওভারেই সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (২) আউট করেন শেখ মাহেদী।
এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নিশাঙ্কা। এই লঙ্কান ব্যাটারকেও সাজঘরে ফেরান মাহেদী। ৬৪ বলে ৬৮ রানে থামেন নিশাঙ্কা। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা চারিথ আশালঙ্কাকে সাজঘরে ফেরান শেখ মাহেদী। মিরাজের দারুণ ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১৮ রান করে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক শানাকা। শরিফুলের শর্ট বলে তানজিমের ক্যাচে ৩ রানেই ফিরতে হয়েছে তাকে।
রান আউটে কাটা পড়েন করুনারত্নে (১৮)। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে মিরাজের শিকার হন ধনঞ্জয়া। ১০ রানে দুনিথ ও ১১ রানে আউট হন হেমন্ত। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন লাহিরু কুমারা।
বাংলাদেশের হয়ে শেখ মাহেদী ৩৬ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ উইকেট। এছাড়া নাসুম, শরিফুল, তানজিম ও মিরাজ একটি করে উইকেট পেয়েছেন। এদিন ৭ ওভার বোলিং করে উইকেট শূন্য থাকলেও বেশ মিতব্যায়ী ছিলেন তাসকিন আহমেদ।