Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপক’লীয় এলাকার নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের ৪ টি পয়েন্টের বেড়ীবাঁধসহ অনেক এলাকার বেড়ীবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।

স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাঁধ সাময়িকভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও তা প্রবল জোয়ারের পানিতে শেষ রক্ষা হবেনা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

গাবুরার সোরা গ্রামের মকবুল শেখ বলেন, আমাদের এলাকার বেড়িবাধের নাজুক অবস্থা। জলোচ্ছ্বাস হলে কী হবে আল্লাহ ভাল জানে। ইতিমধ্যে নদীতে জ্জ ফিট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

গবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত ৪টি পয়েন্টে বাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করেছে। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ইউনিয়নের অধিকাংশ বাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখন নদীতে ভাটা চলছে এজন্য তেমন একটা পানি প্রবেম করেনি। তবে জোয়ারের সময় পরিস্থিতি ভয়ানক অবস্থা ধারণ করতে পারে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে স্বাভাবিক জোয়ার ভাটার তুলনায় পানি তিন থেকে চার ফিট বৃদ্ধিও সাথে সাথে ঢেউও বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। সেগুলো মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। আমাদের চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। এছাড়া পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি, গ্রাম পুলিশ মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। ইতিমধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে মাইকিংসহ বিভিন্নভাবে সতর্ক করা হচ্ছে।

By S V

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *