নিজস্ব প্রতিনিধি: পলাতক স্বামীকে মামলা থেকে জামিন করানোর কথা বলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রওশান আলীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ভিকটিম কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত রওশন আলী(৫০) কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত জিয়াদ আলী কাগুচীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের কেরামত আলী অন্য একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় পলাতক রয়েছেন। কেরামত আলীকে মামলা থেকে জামিন করানোর আশ্বাস দিয়ে রওশন আলী কেরামত আলীর বাড়িতে যেতেন। ওই সুযোগে রওশন আলী কেরামত আলীর স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজি হননি কেরামত আলীর স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে কেরামত আলীর বাড়িতে যান রওশন আলী। ওই সময় কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে রওশান আলী ঘরের মধ্য প্রবেশ করে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে রওশন আলী ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
কালিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ওই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রওশন আলী বলেন, আমি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। এজন্য আমার প্রতিপক্ষ আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে সাফিয়া পারভীন সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ওই মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। কেরামত আলী সাফিয়া পারভীনের মোটর সাইকেলের ড্রাইভার ছিলেন।
এদিকে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাফিয়া পারভীন বলেন, ঘটনা ঘটার পর এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। উনি যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো সব মিথ্যা। উনি জনপ্রিয়তায় একেবারে তলানিতে। আরো অনেক প্রার্থী আছেন। যাদের জনপ্রিয়তা আছে তাদের বিরুদ্ধে ওটা না করে উনার বিরুদ্ধে কেন করবো? আমি উনাকে কখনও প্রতিপক্ষ ভাবিনা।
কেরামত আলী তার ড্রাইভার ছিলেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমি অনেকের মটর সাইকেলে চলাচল করি। যাকে আমার বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় আমি তার মটরসাইকেলে চলাফেরা করি।