নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ের প্রলোভনে সাউথ এরিয়ান ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (স্যাডো) সংস্থার কর্মরত এক নারী ফিল্ড অফিসারের সাথে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ক্যান্টিন পরিচালক ফরিদ উদ ফেরদৌস খান নিক্সনের বিরুদ্ধে।
ওই ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ওই ভূক্তভূগী নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ৮ মাস আগে সাউথ এরিয়ান ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (স্যাডো) সংস্থায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত ওই নারী ফিল্ড অফিসারকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদ উদ ফেরদৌস খান নিক্সন শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
সম্প্রতি ওই ফিল্ড অফিসার অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ক্যান্টিনে ডেকে ঔষধ খাইয়ে গর্ভপাত করায়। ৯ রমজানে ক্যান্টিনের সামনে তার পায়ের উপর মোটরসাইকেল তুলে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাজসহ এসব বিষয় কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়।সোমবার সকাল ১১টার দিকে তিনি সিভিল সার্জন অফিসে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ জমা দেওয়ার পর নিক্সনের স্ত্রী রিনা পারভীর (৩৪) ও ক্যান্টিনের ম্যানেজার আজিজুল হকের উপস্থিতিতে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওই ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের জানান, এসময় আমার কানের দুল ও গলার চেইন ছিল সেটা আর পাচ্ছি না। এব্যাপারে নারীলোভী নিক্সনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিনা পারভীনের মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ক্যান্টিন পরিচালক ও সাউথ এরিয়ান ডেভোলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (স্যাডো)’র পরিচালক ফরিদ উদ ফেরদৌস খান এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ফরিদ উদ দৌলা নিক্সনের বিরুদ্ধে এর আগেও প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন নারী কর্মীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বলে ভুক্তভোগী জানান।